5:41 AM, 3 July, 2025

‘ক্যান্সার হয়েছে’ শুনে খুব কেঁদেছিলেন সঞ্জয় দত্ত

1f4f2d8d1ffab628decabe8c05f7e96697477e4a358dad92

এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেল ফুসফুসের অর্ধেক পানিতে ভর্তি। পরিবার ভেবেছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে। কিন্তু না, পরে জানা গেল ক্যান্সারেই আক্রান্ত হয়েছেন সঞ্জু বাবা।

সঞ্জয় দত্ত যখন শুনেছিলেন তার ক্যান্সার হয়েছে, তখন চিৎকার করে কেঁদেছিলেন। মৃত্যু আতঙ্ক গ্রাস করেছিল তাকে। কী ভাবছিলেন তখন মুন্নাভাই? এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, আমার স্ত্রী, সন্তান সব কিছু ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা! আমায় শেষ করে দিচ্ছিল সেই যন্ত্রণা। কিন্তু টানা ৩ ঘণ্টা শোকে ডুবে থাকার পর সঞ্জয় উপলব্ধি করেন, মন দুর্বল হলে রোগ আরও পেয়ে বসবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা জোর গলায় বলে ওঠেন, আমার কিচ্ছু হবে না।

বছর দুয়েক আগের কথা। করোনা আবহ, লকডাউন চলছে তখন। কোনও এক অলস দুপুরে গোসল সেরে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন সঞ্জয়। হঠাৎ বোন প্রিয়াঙ্কা দত্ত এসে দাদাকে দুঃসংবাদ দেন। কাউকে না কাউকে তো জানাতেই হত। কিন্তু আচমকা আসা এমন খবরের জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। কণ্ঠরোধ হয়ে আসছিল সঞ্জয়ের, শ্বাস নিতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল যেন ওখানেই পড়ে যাবেন! সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে ফোন করেন সঞ্জয়।

২০২০ সালের আগস্টে সঞ্জয়ের ফুসফুসে চতুর্থ স্তরের ক্যান্সার ধরা পড়ে। তার কয়েক মাস পরে, তিনি নেট মাধ্যমে লিখেছিলেন, আমার ছেলে-মেয়েদের সব থেকে ভালো উপহার দিতে চলেছি। নিশ্চিতভাবে বেঁচে ফিরব আমি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দু’বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতির কথা ভাগ করে নিয়েছেন ‘কেজিএফ-২’-এর খলনায়ক। কীভাবে মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তিনি, কেমন করে কেমোথেরাপি নিয়েও জারি রেখেছিলেন শরীরচর্চা— সবটাই উঠে এসেছে কথোপকথনে।

সঞ্জয় ভেবেছিলেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু ভিসা পাননি। পরে অভিনেতা হৃতিক রোশানের বাবা, অভিনেতা-প্রযোজক রাকেশ রোশান এক জন ভালো ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের খোঁজ দেন। সঞ্জয় হেসে বলেন, যখন ডাক্তার তাকে চুল পড়া এবং বমির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন, তখন তিনিও বলেছিলেন ‘‘মেরেকো কুছ না হোগা (আমার কিছুই হবে না)।’’ শুধু তা-ই নয়, প্রত্যেক বার কেমোথেরাপির পরে রোজ এক ঘণ্টা বসে বসে সাইকেল চালাতেন অভিনেতা। দুবাইতে কেমোথেরাপি নিতেন। তার পরে দু’তিন ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেলতেন।

এভাবেই লড়েছিলেন ‘অধীরা’। পরিবার ও অনুরাগীদের দুশ্চিন্তামুক্ত করে এখন তিনি ক্যানসারমুক্ত। ১৪ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘কেজিএফ -২’। প্রথম দিনেই বক্স অফিসে ঝড় তুলে ১৩৪ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে সেই ছবি। এখন শুধু এগিয়ে চলার সময়।

2 thoughts on “‘ক্যান্সার হয়েছে’ শুনে খুব কেঁদেছিলেন সঞ্জয় দত্ত

  1. সঞ্জয় দত্তের ক্যান্সারের সাথে লড়াইয়ের গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী ছিলেন, তা এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। তার পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন তাকে এই কঠিন সময়ে সাহস জুগিয়েছে। কেমোথেরাপির পরেও তিনি নিয়মিত ব্যায়াম চালিয়ে গেছেন, যা তার ইচ্ছাশক্তির প্রমাণ। সঞ্জয় দত্তের এই লড়াই থেকে আমরা কী শিখতে পারি? WordAiApi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *