১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারী কিশোরগঞ্জে আব্দুল হালিম হুছাইনী (র.) হুজুরের জলছা


কিশোরগঞ্জ অফিস:
আসছে আগামী ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারী কিশোরগঞ্জে আব্দুল হালিম হুছাইনী (র.) এর প্রতিষ্ঠিত তারাকান্দি জামিয়া হুছাইনীয়া আছ’আদুল উলুম কওমি ইউনিভার্সিটি ময়দানে খতমে বুখারী শরীফ উপলক্ষ্যে ৫২ তম বার্ষিক ইছলাহী ও তালিমী জলছা। জলছাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। জামিয়ার আশপাশে গেইট, স্পেন্ডেল, লাইটিং ও মাইকিং সহ অন্যান্য কাজ চলছে দিনরাত।
জলছায় আগত মুসল্লিদের জন্য ওযু খানা, বাথরুম ও গাড়ী রাখার জন্য পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে অসুস্থ্য রোগীদের জন্য মেডিকেল ক্যাম্প।
হুজুরের প্রতিষ্ঠিত হুসাইনীয়া স্বেচ্ছাসেবী তওহীদি যুব সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক এনামুল হক দেশেররার্তাকে জানান, প্রতি বছরের ন্যায় মাহফিল কে সফল করতে প্রায় ১৬০০ এর বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিমেল জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি তিন স্তরের স্বেচ্ছাসেবক এবার মাঠে নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় কাজ করবে।
যার যার অবস্থান থেকে হুজুরের জলছার প্রচারনা করার জন্য অনুরোধ জানান জুনায়েদুল হক শাহীন ও হুমায়ুন কবীর।
সারাদেশ থেকে এবারো কয়েক লাখ মুসল্লিদের আগমন ঘটবে বলে জানান রাজন আকন্দ। দেশের যুব সমাজকে জলছায় এসে আলোকিত জীবন গঠনে করণীয় কার্যক্রম ও হুজুরের জিবনী সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন এই তরুন উদ্যোক্তা।
হুসাইনি রহঃ হুজুর সোনার চামচ মুখে নিয়ে সৌভাগ্যের এক সুন্দর ভোরে পৃথিবীকে পরিবর্তনের পয়গাম দিয়ে মায়ের কোল আলোকিত করে জন্ম গ্রহন করেন একটি ছোট্র শিশু, যেই শিশুটিই সবার প্রিয় আঃ হালিম হুসাইনি। গায়ের ধূলি মলিন আঙ্গিনা, সবুজ ফসল ভরা মাঠ, নদীর তরে কাশফুলে ভরা বন, মায়া ভরা পরিবেশ,ছায়া ঢাকা গ্রামের পরিবেশে সব শিশুদের মতই শিশু হুসাইনি হুজুর রহঃ এর শৈশবের সীমানা পেরিয়ে যায়। শৈশবের অবুঝ সময়েও হুসাইনি রহঃ এর থেকে শিশু সূলভ কোন অপরাধ প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়নি, এ ছিল তার স্বভাব জাত বৈশিষ্ট্য। আবু বকর আঃ হালিম হুসাইনিয়া রহঃ জন্মগত ভাবেই ছিলেন আল্লাহর অলী। তার শৈশব ও বাল্য জীবনে বেলায়েতের বহু আলামত প্রকাশ পেয়েছিল। শৈশব ও বাল্যকালে সাধারণত মানুষ একটু চঞ্চল থাকে। কিন্তু হুসাইনি হুজুরের বাল্যকালে চঞ্চলতা কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। হুসাইনি হুজুর যখন গ্রামের মক্তবে পড়াতেন তখনও কারো সাথে ঝগড়া করেন নাই। তিনি কখনো অহেতুক ঝগড়া বিবাদ ও খেলাধুলায় লিপ্ত হতেন না। তিনি সবার সাথেই সুন্দর আচরণ করতেন। শৈশবকালীন চালচলনেই সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, হুসাইনি রহঃ হবেন ভবিষ্যৎ প্রাণ পুরুষ। হবেন সত্যবাদি মানুষের রাহবার, যুগের আলোকবর্তিকা ও হেদায়েতের মশাল । হুসাইনি রহঃ ছোটকালীন থাকা অবস্থায় দেখে মনে হতো তিনি দক্ষ কোন কারিগরের নিপুণ হাতে গড়া একটি স্বর্ণের অলংকার। যাতে নেই কোন খাঁদ, নেই কোন পাপ পঙ্গিলতা, বা শিশু সুলভ আচরণ। বরং শিশু হুসাইনি তে রয়েছে রাসূলের আদর্শের এক উজ্জ্বল নমুনা।
আঃ হালিম হুসাইনি রহঃ এর কর্ম জীবন ছিল অত্যন্ত সুন্দর সুখময় সুগঠিত এবং সকলের কাছে প্রশংসনীয়। যার প্রতিটি রন্ধে রন্ধে রয়েছে রাসূল (সাঃ) এর সুন্নতের প্রতিচ্ছবি। কর্ম ক্ষেত্রে তিনি কখনো রাসূল (সাঃ) এর সুন্নত হতে পিছপা হন নি। বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি বাস্তবায়ন করেছেন রাসূল (সাঃ) এর আদর্শকে। একদিকে তিনি ছিলেন আদর্শ রাহাবার, কোরআন এবং হাদিসের আলোকে তিনি মানবজাতিকে দেখিয়েছেন মহা সত্যের সন্ধান ও জান্নাতের পথ। পথ হারা মানুষ কে দেখিয়েছেন পথের দিশা। আলোহীন মানুষকে দিয়েছেন ঈমানি আলো। অপর দিকে তিনি একজন বিদগ্ধ আলেমে দ্বীন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান সহ বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত মনীষীদের থেকে এলমে ওহীর মধু আহরণ করে সেই এলেম কে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বব্যাপী। কোরআন এবং হাদীসের জ্ঞান বিলিয়ে ধন্য করেছেন অসংখ্য এলেম পীপাসুকে।জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেছেন এই শিক্ষা বঞ্চিত সমাজকে । কোরআন এবং হাদিসের নূরকে ছড়িয়ে দিতে তিনি গ্রহন করেছিলেন অনেক গুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রতিটি গ্রামে তিনি গড়ে তুলেছিলেন অসংখ্য মক্তব ,মাদ্রাসা, যা এখনো ইতিহাসের সাক্ষি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে উজ্জ্বল মহিমায় ।
আঃ হালিম হুসাইনিয়া রহঃ শুধু একজন যোগ্য আলেমই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন, অন্যায়, অত্যাচার ,জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার। কুফর , শিরিক, বেদাতের বিরুদ্ধে ছিলেন বলিষ্ট কণ্ঠস্বর। যাত্রা, জুয়া, গান, বাজনার বিরুদ্ধে ছিলেন বজ্র-হুংকার। সময়ে একাই রুখে দিতেন লক্ষ অপরাধীর জুলুম অনাাচার। এক কথায় মিথ্যার দাপট মিটিয়ে দিয়ে সত্যের বাণীকে সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে তিনি ছিলেন আপোষহীন জননেতা । আঃ হালিম হুসাইনি রহঃ ছিলেন এমনই এক মনীষি যিনি পারিবারিক,সামাজিক, জাতীয় সব পর্যায়েই রেখে ছিলেন দৃষ্টান্ত মূলক অবদান। রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, নদীনালা, খাল-বিল, স্কুল-পাঠশালা, মসজিদ-মাদ্রাসা সর্ব ক্ষেত্রেই ছিল তার উন্নয়নের হাত। গরীব, মিসকিন, বিধবা, অসহায়, এতিমদের জন্য তিনি ছিলেন এক দয়ালু অভিবাবক। যার হাতের পরশে সেরে উঠত অনেক জটিল কঠিন জীবন নিয়ে হতাশ হাসপাতাল ফেরৎ রোগীরাও।
আজ থেকে শত বৎসর পূর্বে চরম অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল এ ভুখন্ড । শান্তির অন্বেষায় দারে দারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সাধারণ মানুষগুলো । অধীর প্রতীক্ষায় চাতকের মত তাকিয়ে ছিল আকাশ পানে। চেয়েছিল এমন একজন মুক্তিকামী মানবের দিকে, যিনি মানুষদেরকে মুক্ত করবেন জুলুম নির্যাতন আর মুর্খতার নিকোষ কালো অন্ধকার থেকে । যিনি হবেন সত্য ও সঠিক জ্ঞানের আলোর মশাল, এবং কোরআন সুন্নাহর আলোকে সাধারণ মানুষের জন্য সঠিক পথের দিশারি। যিনি অশান্ত এই ভুখন্ডের অবিন্যস্ত অবয়বটা পাল্টে দিয়ে শান্তির সৌরভের ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত ও সু-বিন্যাস্ত করে দিবেন। ঠিক এমন সময় শান্তির সওগাত ও অশান্তির পতন ঘটিয়ে অফুরন্ত আলোর ছোঁয়ায় এইছোট ভূখন্ডকে উদ্ভাসিত করে আগমন করেন “আঃ হালিম হুসাইনি ”।
এই মনীষি যখন আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলেন এবং একটু একটু করে এই অবহেলিত সমাজের অবস্থা বুঝতে লাগলেন। তখন থেকে তিনি শপথ নিলেন, সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে ঢেলে সাজাবেন এই বঞ্চিত সমাজটাকে।জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করবেন কুফর শিরিক বেদাতে নিমজ্জ্বিত এই জাতিকে। তাই মায়ের কাছ থেকেই শুরু করেন কোরআনি শিক্ষা। অতঃপর নিজ এলাকা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর যখন তিনি দেখতে পেলেন সমাজ জুলুম নির্যাতন আর মুর্খতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন , এবং বুঝতে পারলেন সমাজ সংস্কারের জন্য দরকার একজন যোগ্য সমাজ সংস্কারক । এবং আদর্শ শিক্ষিত জাতি গঠনের জন্য খুব বেশী প্রয়োজন একজন আদর্শবান শিক্ষক। সেই থেকে তিনি নিজেকে একজন আদর্শবান শিক্ষক ও সংস্কারক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সফল চেষ্টা করতে লাগলেন। সেই সুবাদে তিনি ১৯১৯ ইংরেজি সনে তারাকান্দি সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হন। অধ্যায়ন কালে হুজুরের প্রখর মেধা ও প্রতিভা দেখে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা তার প্রতি আকৃষ্ট হন। ঐ সময়ে বোর্ড ছিল কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসা। তখন হুজুর বোর্ড পরিক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর হুজুর তারাকান্দি সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যায়ন শেষে উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকার হাম্মাদিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে তিনি এক বছর অধ্যায়ন শেষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত, উম্মুল মাদারিস খ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। তিনি সেখান থেকে পবিত্র কোরআনের তাফসির ও হাসিদ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করেন।
আর এভাবেই তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৯৩১ সালে লাহোর ওরিয়েন্টাল কলেজ ও পরবর্তীতে পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষাও লাভ করেন।
মোট কথা,মহান এই মনীষি উপমহাদেশের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে খ্যাতিমান বুজুর্গদের সোহবতে থেকে ইলমে নববী হাসিল করেন। বুজুর্গদের মধ্য থেকে অন্যতম হলেন আওলাদে রাসূল শাইখুল আরব ওয়াল আযম আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানি রহঃ । আর এভাবেই তিনি চেষ্টা সাধনার মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলেন একজন তাকওয়াবান,খোদার ভয়ে প্রকম্পিত বান্দা ও যুগশ্রেষ্ট আলেমে দ্বীন হিসেবে।এবং নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন শ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক ও আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে। যার দৃষ্টান্ত হিসেবে আজও গর্বের সাথে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী জামিয়া হুসাইনিয়া ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নাম না জানা অনেক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান
আল্লাহ তা আলা নবী রাসূলদের কে মনোনীত করেছিলেন তাঁর দ্বীনকে বান্দার কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আর নবী রাসূলগণ খোদা প্রদত্ত¡ বিশেষ শক্তি মু‘জিযার মাধ্যমে দ্বীনের এই দাওয়াতকে অত্যান্ত শক্তিশালীভাবে উম্মতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আদি পিতা আদম (আঃ) থেকে নিয়ে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত সকল নবীগণই খোদা প্রদত্ত বিশেষ অলৌকিক শক্তি দিয়ে অসংখ্য মু‘জিযা দেখিয়েছেন।
ঠিক তেমনি আল্লাহ্ তা আলা মাঝে মাঝে তাঁর অনেক বান্দাদেরকেও বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে থাকেন, যারা তাঁর নিকটবর্তী বান্দা হন । এবং সেই সকল ব্যক্তিরা খোদা প্রদত্ত শক্তি দিয়ে কারামতের মাধ্যমে আল্লাহ্ তা আলার কুদরত প্রদর্শন করে থাকেন।
মুসা (আঃ) যেমনি ভাবে তার লাঠির মাধ্যমে ফেরাউনের মসনদকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে মুসা (আঃ) এর ঈমানি শক্তিতে অণুপ্রাণিত হয়ে হুসাইনি রহঃ ও স্বীয় লাঠির মাধ্যমে যাত্রা, গান – বাজনা ও সার্কাজ এর প্যান্ডেলকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন।
ইব্রাহিম (আঃ) এর জন্য যেমন আগুন ঠান্ডা ও আরামদায়ক ছিল এবং আগুন এর ভিতরেও তিনি সুস্থ এবং ঠিকঠাক ছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে হুসাইনি রহঃ আল্লাহর উপর ভরসা করে জ¦লন্ত আগুনে প্রবেশ করে আল্লাহর কুদরতকে মানুষের সামনে ফুঠিয়ে তুলেছিলেন। রাসূল (সাঃ) যেমন এক পিয়ালা দুধ দিয়ে আসহাবে সুফফার পুরো জামাত কে পরিতৃপ্ত করেছিলেন, হুসাইনি রহঃ ও তেমনি এক প্লেট খাবার দিয়ে বহু মানুষকে তৃপ্ত করেছিলেন।
হুসাইনি রহঃ এর সবচেয়ে বড় কারামতি ছিল তিনি কুরআন এবং সুন্নাহকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করেছিলেন এবং তার থেকে কখনও কোরআন হাদিস বিরোধী কোন কর্মকান্ড কখনোই প্রকাশ পায়নি, বরং কোরআন হাদিস বিরোধী কোন কর্মকান্ড কাহারো থেকে প্রকাশ পেলে তিনি তা বীরদর্পে প্রতিহত করতেন।
এছাড়াও হুসাইনি রহঃ এর থেকে অনাবৃষ্টিতে দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি হওয়া, মূষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ হঠাৎ থেমে যাওয়া, গাছ নিজ জায়গা থেকে সরে যাওয়া সহ অসংখ্য কারামতি প্রকাশ পেয়েছিল যার কিছুটা প্রসিদ্ধ আবার কিছুটা অগোচরেই রয়ে গেছে। তবে তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে আযান ইকামত দিয়ে নামাজ পড়েছেন সেখানেই আজ খোদা ই রহমতে আকাশ চুম্বী মসজিদ্ নির্মিত হয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে তিনি হাঁটতে গিয়ে কখনো কোদাল রাস্তায় মাটি দিয়েছেন সেটি আজ মহাসড়কে পরিণত হয়েছে। তিনি যে এলাকাতেই কদম ফেলেছেন সেখানেই দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
হুজুরের রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অগণিত। সেই সাথে ওনার রেখে যাওয়া বিভিন্ন কারামতি এখনো বাংলার বুকে বিদ্যমান।
জলছায় তাফসির পেশ করবেন দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ। মঙ্গলবার সকাল আটটায় আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। তাই দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে জলছায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আলহাজ্ব রশিদ আহমেদ জাহাঙ্গীর হুছাইনী।