দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন স্কুলে ‘মাদক কে না’


নিউজ ডেস্ক :
আজ কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো “মাদক কে না বলুন”- এই মুখরিত স্লোগানময় এক উজ্জ্বল মুহূর্ত। প্রধান শিক্ষক জনাব কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জোনাব মো: আবদুস সবুর,জনাব জামাল মোহাম্মদ কবীর ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকেরা।
আজ শনিবার (২৬ জুন) বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস। প্রতি বছরই এইদিনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মানুষই মুখ্য: মাদককে না বলুন, শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২৬ জুনকে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ‘বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস’ পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক পদক্ষেপ এবং সহযোগিতা জোরদার করার জন্য রেজুলেশনটি গৃহীত হয়েছিল।
প্রতি বছর, বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস একটি নির্দিষ্ট থিম নিয়ে পালন করা হয়, যা মাদকের অপব্যবহার সম্পর্কিত বর্তমান সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলো প্রতিফলিত করে। থিমগুলো প্রতিরোধ, চিকিৎসা, আইন প্রয়োগ এবং অ্যাডভোকেসির মতো বিষয়গুলোয় ফোকাস করে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থা, সরকার এবং সম্প্রদায়গুলো মাদকের অপব্যবহারের ক্ষতিকারক প্রভাব এবং প্রতিরোধ ও চিকিৎসার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ইভেন্ট, প্রচারাভিযান এবং কার্যকলাপের আয়োজন করে।
বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মো: আবদুস সবুর বলেন, আইনের মাধ্যমে মাদকের ব্যবহার কিছুটা কমানো যেতে পারে তবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি পরিবারে সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে যুব সমাজকে এই অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নের অংশীদার হতে হলে সকল নাগরিককে মাদকবিরোধী দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি এটাও বলেন, মাদক রুখতে জনগণকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতির পিতার সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাদককে পরাজিত করতেই হবে। শেখ হাসিনাই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং ২০৪১ সালের মাঝে ধুমপানমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আর মাদকবিরোধী সিদ্ধান্ত যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে যে কোন বাঁধাই অতিক্রম করা অসম্ভব কিছু নয়।
জনাব জামাল মোহাম্মদ কবীর স্যার বলেন, সমাজে নানাবিধ অপরাধ সংগঠনের মূল কারণ হচ্ছে মাদক। বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতা, সড়ক দুর্ঘটনা, নৈতিক অবক্ষয় সবকিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মাদক। প্রতিটি পরিবারে মাদক নির্মূলে নারীরা তাদের সন্তানকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।