কোন কারাগারে গেলেন পরীমনি?


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র্যাবের দায়ের করা মামলায় দুই দফায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। পরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নায়িকা পরীমনিকে। সেখানে মহিলা কারাগারে স্থান হবে তার।
আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করে পরীমনিকে বহন করা প্রিজন ভ্যান।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিকাল তিনটার দিকে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এদিন পরীমনির জামিন আবেদনে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতে উল্লেখ করেন, পরীমনি ‘ভারটিগো’ এবং ‘প্যানিক অ্যাটাক’-এর রোগী। তিনি দীর্ঘসময় পুলিশ কাস্টডিতে (হেফাজতে) অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হেফাজতে থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হয়নি। জরুরি চিকিৎসার স্বার্থে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া আবশ্যক।
অপরদিকে, পরীমনিকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
সেখানে আরও বলা হয়, ‘রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমনি) বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
গত ৪ আগস্ট বনানীর ফ্ল্যাট থেকে আটক হন নায়িকা পরীমনি। পরে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।