করোনা : ৩০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে ৩০ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক। এ সময় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানায় উপস্থিত রাষ্ট্রদূতরা। ১০ মার্চ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের আমন্ত্রণে তার বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আমেরিকার রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ করেন। এতে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, জাপান, ইতালি, ভারতসহ ৩০ দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশের করোনায় আক্রান্ত তিনজনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের জানানো হয়। একই সঙ্গে হাসপাতাল ও বাসা-বাড়িতে যাদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে সে বিষয়েও তাদের অবহিত করা হয়। এ ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো সম্পর্কে তাদের বিস্তারিত জানানো হয়। সরকারের নেয়া উদ্যোগে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তার দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন। আগামী দুই দিনের মধ্যে এই ভাইরাস মোকাবেলায় তিনি আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া ইতালির রাষ্ট্রদূত তার দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সূত্র মতে, রাষ্ট্রদূতরাও নিজ দেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিনত হয়েছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় সব রাষ্ট্র ও দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে। এক অপরের পাশে থেকে চলমান এই বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।
চীন, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালিসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা তাদের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা আদান-প্রদানে পরবর্তী করণীয় নিয়ে কথা বলেন। এ বিষয়ে উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিদেশি কূটনৈতিক ও নাগরিকদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কোথায়, কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে রাতে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় আধাঘণ্টার ওই বৈঠকে হাইকমিশনার করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলোয় কি ধরনের সহায়তার প্রয়োজন তা জানতে চান ভারতের হাইকমিশার। তাকে ইক্যুইপমেন্ট, মাস্কসহ কিছু প্রয়োজনীয় করোনা জীবানু প্রতিরোধী পন্যের কথা বলেছি। সেগুলো তিনি দ্রুত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।