7:07 AM, 13 March, 2025

নাগরপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুনীকে ধর্ষন, ধর্ষনকারীকে আটকে পুলিশে দিল জনতা

IMG_20190416_180109

আল-তুহিন আজাদ

নাগরপুর,টাঙ্গাইলঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুনীকে (১৬) ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষনকারী ও ধর্ষনে সহায়তাকরীকে আটকে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ধর্ষক মোবারক হোসেন (২০) উপজেলার বেকড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে এবং ধর্ষনে সহায়তাকারী রাজিব মিয়া কালু (২২) চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভিকটিমের বাবা বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানালে তারা আসামী মোবারক ও কালুকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষনের কথা তারা স্বীকার করে। এসময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রাতেই তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে ধর্ষিতার বাবা ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে অভিযুক্ত দুই আসামীকে জেল হাজতে ও ধর্ষিতা তরুনীকে জবানবন্দি এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুনীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসামী মোবারকের পরিচয় হয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ মন দেওয়া নেওয়া চলছিল। গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার ভারড়া বাজারে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় বেড়াতে আসলে ঐ তরুনীকে কৌশলে মোবারক তার বন্ধু কালুর বাড়ি চৌবাড়িয়াতে বেড়াতে নিয়ে যায়। এসময় কালু, মোবারক ও ওই তরুনীকে তার দোচালা ঘরের ভিতর রেখে বাইরে থেকে শিকল দিয়ে চলে যায়। পরে রাতে মোবারক তরুনীকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। পরদিন রোববার (১৫ এপ্রিল) সকালে কালুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে তরুনীকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘোরাফেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তরুনীকে উপজেলার শেখ শামসুল হক সেতুর উপর রেখে মোবারক ও কালু পালিয়ে যায়। এসময় ধর্ষনের শিকার তরুনী বিষয়টি মোবাইলে তার বড় বোনকে জানালে তারা সেতু এলাকা থেকে তরুনীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে কালুর বাড়িতে গিয়ে ভিকটিমের বাবা জানালে এলাকাবাসীর সহায়তায় মোবারক ও কালুকে আটক করে পুলিশে শোপর্দ করে। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ওই তরুনীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূলত বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুনীকে ধর্ষন করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।