ঈদের আগে সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য বিশেষ ভাতা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসন্ন ঈদের আগেই হাওর অঞ্চলে কর্মরত সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য ‘হাওর ভাতা’ চালু করলো সরকার। ৫ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। অতরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির থেকে এই বিশেষ ভাতা কার্যকর হবে।
এই বিশেষ ভাতার আওতায় ২০তম গ্রেডে বেতনপ্রাপ্তরা মাসিক ১৬৫০ টাকা এবং ৭ ও তদুর্ধ্ব গ্রেডপ্রাপ্তরা ৫০০০ হাজার টাকা পাবেন।
হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চল দেশের অন্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশি অনুন্নত। দুর্গম এসব এলাকায় নাগরিক সুবিধা বলতে কিছুই নেই। কিন্তু বিদেশি সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারির ফলে পাহাড়ি এলাকায় এখন শিক্ষাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বেড়েছে। শিক্ষা, চাকরি ও ভূমিসহ বিভিন্ন দাবি তারা আদায় করে নিয়েছেন। কিন্তু হাওর অঞ্চলের মানুষ এখনো এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে এ সুযোগ হাওরেও সম্প্রসারণের দাবি দীর্ঘদিনের।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দাবি করনে, হাওর ভাতা চালু হলে দেশের সাতটি জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ভাতা পাবেন। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলাকে হাওর অঞ্চল হিসেবে ধরা হয়। হাওর মূলত বিস্তৃত প্রান্তর, অনেকটা গামলা আকৃতির জলাভূমি, যা প্রতি বছর মৌসুমি বৃষ্টির সময় পানিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্ষাকালজুড়ে হাওরের পানিকে সাগর বলে মনে হয় এবং এর মধ্যে অবস্থিত গ্রামগুলোকে দ্বীপ বলে মনে হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৪০০ হাওর রয়েছে। হাওরগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। পাহাড়ের পাদদেশে বা পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থিত হাওর, প্লাবিত এলাকার হাওর, গভীর পানিতে প্লাবিত এলাকার হাওর।
এই বিশেষে ভাতার আওতায় দেশের ১৬ উপজেলা। কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চররাজিবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এবং ভোলার মনপুরা। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলাকে হাওর, দ্বীপ বা চর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
