জেলহত্যা মামলার আসামি খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার

মো: অলিউর রহমান লিমন, ঢাকা প্রতিনিধিঃ
বিএনপি আমলে খালাস পাওয়া জেলহত্যা মামলার আসামি ও সাবেক হাইকমিশনার মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান। তবে বিএনপির আমলে মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিত জানিয়েছে। বর্তমানে মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।
এক যুগের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করে আসা খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর এবং স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকারকে নেতৃত্ব দেয়া জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর খায়রুজ্জামান সেই জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন, তবে পরে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জেলহত্যা মামলার অভিযোগপত্রে নাম এলে সে সময় ফিলিপিন্সের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা খায়রুজ্জামানকে দেশে ডেকে পাঠানো হয়। ওই বছর ২৪ সেপ্টেম্বরে তাকে গ্রেপ্তার করে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়।
পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ফিরলে জামিনে মুক্ত হন খায়রুজ্জামান। ২০০৩ সালের ৪ মে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
