নাগরপুরে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ভবন নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ অবশেষে মিলেছে

আল তুহিন আজাদ
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
‘বিদ্যালয় নদী গর্ভে, পাঠদান চলছে একটি বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা আকাশের নীচে’ শিরোনামে বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হওয়ায় অবশেষে প্রশাসনের টনক নড়েছে। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র নিয়ে এমন সংবাদ পরিবেশনের পর সেময় জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে দ্রæত অস্থায়ী ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা যেন অধরাই থেকে যাচ্ছিল। অবশেষে গত মাসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অস্থায়ী শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। অর্থ বরাদ্দের খবরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে খুশির জোয়ার বইছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আজম আলী বলেন, অর্থ বরাদ্দের আগে থেকেই আমরা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার করে কাজে হাত দিয়েছি। এখন অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় আমরা দ্রæত গতিতে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করতে পারবো। শিক্ষার্থী পায়েল আক্তার অস্থায়ী ভবন নির্মাণের খবর শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলে এখন থেকে আর আমাদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হবে না। রোদ, বৃষ্টি ও ঝড়ে আর আমাদের কষ্ট করতে হবেনা। আমরা ভালভাবে আমাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবো। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শিপ্রা সরকার বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির অস্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য এ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রæতই শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের বন্যায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় নাগরপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি। এরপর থেকেই পাঠদান চলছে একটি বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা আকাশের নীচে। বিদ্যালয়ের ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন চারজন শিক্ষক। তিনটি শ্রেণির পাঠদান একসঙ্গে চলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ কারো কথা ভালো ভাবে শুনতে পারেনা। রোদ, গরম ও শীতের কনকনে হাওয়াকে চোখ রাঙিয়ে এতদিন ধরে চলছে পাঠদান। বৃষ্টি নামলেই ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা।
