সুন্দরগঞ্জে পৌরসভায় ড্রেন নির্মাণে ধীর গতিঃ দুর্ভোগে পথচারী

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
২০১৯ সালের ২৩ মে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মাস্টার ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি। নানাবিধ জটিলতার কারণে ড্রেন নির্মাণের ধীর গতি। যার কারণে দূর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। পৌর শহরের প্রধান সড়কে ড্রেন নির্মাণের সামগ্রী বালু, পাথর, রডসহ অন্যান্য উপকরণ রাখার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির পর স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই ঈদ মার্কেটের ছোঁয়া লেগেছে পৌরসভায়। সে কারণে প্রতিদিন বহিরাগত লোকজনের ভীড় দেখা দিয়েছে চোখে পড়ার মত। ব্যবসায়ীদের দাবি পৌরসভার প্রধান সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হওয়ার কারণে ঈদ মার্কেটগামী গ্রহকরা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সহজে মার্কেটে আসতে পারছে না।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মেহেদুল ইসলাম জানান, জাইকার সহায়তা পুষ্ঠ নবীদেব প্রকল্পের আওতায় পৌরসভায় মাস্টার ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে। ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৮ টাকা এবং বরাদ্দ রয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩১ টাকা। গাইবান্ধার আব্দুল লতিফ হক্কানী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেন নির্মাণ করছে। তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলের সমস্ত প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর নিদের্শনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ সামগ্রী সড়কে উপরে রাখার কারণে পথচারীদের একটু সমস্যা হচ্ছে। পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, নির্মাণ সামগ্রী পৌর শহরের প্রধান সড়কের উপর রেখে কাজ করার কারণে পথচারী এবং স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ক্ষণিকের জন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এনিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যাতে করে নির্মাণ সামগ্রী খোলামেলা জায়গায় জমা রাখার যায় সে ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পথচারীদের দূর্ভোগ লাঘব করা হবে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে জনগণকে সামান্য কষ্ট মেনে নিতে হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আব্দুল লতিফ হক্কানীর প্রতিনিধি সোহেলা রানা জানান, পৌর শহরের জায়গা প্রসস্থ, বিদ্যুতের খুটি সরানো নিয়ে জটিলতার কারণে ড্রেন নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া নির্মাণ সামগ্রী রাখার মতো পৌর শহরে খোলামেলা কোন জায়গা না থাকায় সড়কের উপরে রাখতে হচ্ছে। সে কারণে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের একটু বেঘাত সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আরও ২ বছর বৃদ্ধি হয়েছে। পৌর মেয়র দ্রæত ড্রেন নির্মাণে জায়গা প্রসস্থ এবং বিদ্যুতের খুটি সরানোর ব্যবস্থা করলে ড্রেন নির্মাণ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
