লাল সন্ত্রাসের স্বীকার পুরো এলাকাবাসী,দিশেহারা প্রায়৫০ টি পরিবার

বেতাগী থানা প্রতিনিধি
আমাদের পাড়া গাঁয়ে মানুষেরা যেমন করে সাদামাটা বেঁচে থাকে, তেমনই এখানে। কিন্ত সহজ সরল এই মানুষগুলোরও রয়েছে নানা অসহায়ত্বের গল্প।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার ০২নং বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর যাবৎ শাহ আলম তালুকদারের ৩ ছেলে সোহেল তালুকদার, সোহাগ তালুকদার ও শাকিল তালুকদারের মারধর ও চাদা দাবীর আতঙ্কে কাটছে উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামবাসীর প্রতিটি দিন। বরগুনার বেতাগী উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের শাহ আলম তালুকদারের ৩ছেলে সোহেল, সোহাগ ও শাকিলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদকের কাছে এমনি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এই গ্রামের সৌদি প্রবাসী জালাল খানের ছোট ছেলে ফয়সালকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ১লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে টাকা আদায় করে নেয় ও তার দুই ভাই পুনরায় ঐ প্রবাসীর স্ত্রী মনুজা বেগমের নিকট ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করলে মনুজা বেগম চাঁদা টাকা না দেওয়ায় সন্ধ্যা ৭টার সময় আকন বাড়ী খেয়াঘাটের উপরে জনসম্মুখে ফয়সালকে মারধর করে সোহেল ও তার দুই ভাই সোহাগ ও শাকিল। ছেলেকে মারধর করতে দেখে মা মনুজা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেসহ আরো কয়েকজনকে মারধর করে তারা। উত্তর ভোলানাথ পুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া বলেন, ৪বছর আগে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছিল সোহেল। চাঁদা টাকা না দেওয়ায় আকন বাড়ীর খেয়াঘাটের রাস্তার উপর প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে শাহীনের ডান পা ভেঙে দেয় সোহেল ও তার দুই ভাই। দীর্ঘ ৪বছরেও পায়ের ক্ষত শুকায়নি শাহিনের। সোহেল ও তার ভাইদের আসামী করে আদলতে মামলা করে শাহীন।তথ্য সংগ্রহ করার সময় সোহাগের ছোট ভাই শকিল তালুকদারের মাদক তৈরির একটি ভিডিও ফুটেজও হাতে আসে প্রতিবেদকের হাতে, ভিডিওটিতে সিগারেটের ভিতর মাদক ঢুকাতে দেখা যায় শাকিল তালুকদারকে। ঘৃন্য এই সন্ত্রাসী ৩সহোদর সোহেল, সোহাগ ও শকিলের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চেয়ে একটি আবেদন পত্রে এলাকাবাসী গনস্বাক্ষর দিয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগও দায়ের করে। তবে সন্ত্রাসী সোহেল বেতাগী থানা পুলিশের ফর্মা হিসেবে কাজ করার সুবাদে আইনের সুবিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ। তাদের এই অপশক্তির মদদদাত কে? এই প্রশ্ন রইলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্টদের কাছে?
