12:35 AM, 13 November, 2025

দেশে নতুন এইডস রোগী ৯১৯ জন, সংখ্যায় বেশি বিবাহিতরা

untitled-1_5746

২০১৯ সালে দেশে নতুন করে এইচআইভি ভাইরাসে (এইডস) আক্রান্ত হয়েছেন ৯১৯ জন। এরমধ্যে বিবাহিতদের মধ্যে এইডস রোগীর সংখ্যা ৫৮৭ জন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১০৫ জন। এছাড়া ১৭৫ জন সিঙ্গেল, ১৭ জন ডিভোর্স, ১০ জন বিধবা ও চারজন ভিন্নমতের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১৭০ জন।

১ ডিসেম্বর, রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম।

ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৪ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪২ জন। ২০১৯ সালে দেশে ২৭ হাজার ১৬৮ জন সাধারণ মানুষের এইডস টেস্টিং ও ৪১ হাজার ৩০৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪% পুরুষ, ২৫% নারী ও ১% ট্রান্সজেন্ডার। ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার বেশি। নতুন আক্রান্তদের ৬০৫ জন অর্থাৎ ৭৪.৪২% এই বয়সী। দেশে আনুমানিক এইডস রোগী ১৪ হাজার।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি এইডস রোগী রয়েছেন। সে তুলনায় বাংলাদেশে এইডস রোগীর হার দশমিক শূন্য এক শতাংশ। ওষুধ দেয়ার যে কাভারেজ, তাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। বিশ্বে ৫০ ভাগ ওষুধের কাভারেজ রয়েছে। আর আমাদের দেশে তা ৬১ ভাগ। তবে আমরা এতে সন্তুষ্ট না, আরো বাড়াতে হবে।’

সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ১ কোটি মানুষ বাইরে থাকে। তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়লে তারা এ রোগ থেকে রক্ষা পাবে। আগে যক্ষ্মা রোগীকে একঘরে করা হত এখন এইডসের মধ্যে তা আছে। তারা আমাদের দেশের লোক। তাদের ত্যাগ না করে চিকিৎসা করাতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের এইডস আক্রান্তের হার আমাদের তুলনায় বেশি। আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’