কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় সালিশ বৈঠক বসে ৮০ হাজার টাকায় এক নারীর ধর্ষণের অভিযোগ দফারফা শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান। রবিবার ও সোমবার বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে ধর্ষণের একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। বাস্তবে একটি ভুলবুঝাবুঝির ঘটনাকে ধর্ষণের ঘটনা হিসাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয় বলে ওসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
এক প্রতিবাদ লিপিতে ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, মুরাদনগর থানাধীন ইউসুফ নগর গ্রামের এক তরুনী তার প্রবাসী আপন মামাতো ভাই শাহিন (২৫) এর সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই প্রবাসী ফোনে তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। পরে প্রবাসী শাহীন দেশে এসে ওই তরুনীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে শাহীন অন্যত্র বিয়ে করে ফেললে মামার পরিবারবর্গকে অবিহিত করেন। কিন্তু মামার পরিবারের কাছে যথাউপযুক্ত বিচার পায়নি। পরবর্তীতের থানায় এসে তাকে বিয়ে না করার বিষয়টি লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগে ধর্ষণের কোন বিষয় উল্লেখ করেননি ভিকটিম। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য আমি একজন এএসআইকে দায়িত্ব প্রদান করি। পরে ভিকটিম এবং অভিযুক্তরা স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করে ফেলে।
ওসি বলেন, ওই তরুনীর বিয়ের দায়িত্ব তার মামা এবং মামাতো ভাই গ্রহন করেছে বলে সে আমাদেরকে জানায়। ভিকটিম মিমাংসায় সন্তুষ্ট হয়ে থানায় এসে নিজ দায়িত্বে তার দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকায় থানায় বসে ধর্ষণের ঘটনা রফা দফা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যা আসলে সত্য নয়। এতে পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন ওসি সাদেকুর রহমান। তিনি আরো বলেন, ভিকটিম ও তার পরিবার কোন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধির কাছে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেননি। একটি মহল অপপ্রচার করে পুলিশের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে চাচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক বন্ধুদেরকে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম