
স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি ছিলো উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ঠাঁসা। নির্ধারিত ৫০ ওভারের পর সুপার ওভারও টাই হওয়া সে লড়াইটিকে অনেকেই দাবী করছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ফাইনাল ম্যাচ হিসেবে।
কিন্তু সে ফাইনাল ম্যাচের উত্তেজনার সুপার ওভারের সময় মারা গেছেন কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশামের শৈশবের কোচ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ড টস জিতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করেছিল। জবাবে নির্ধারিত ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডও করে ২৪১ রান। টাই ভাঙতে তাই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করে। জবাবে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহও ১৫। সুভার ওভারে জেমি নিশাম ছক্কা হাঁকানোর পর উত্তেজয় মারা যান তার শৈশবের কোচ ডেভিড জেমস গর্ডন। তিনি অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও নিশামের কোচ ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের ছোটবেলার কোচের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন নিশাম। যেখানে তিনি লিখেন, ‘আমার হাইস্কুল টিচার, কোচ এবং একজন বন্ধু ছিলেন ডেভ গর্ডন। ক্রিকেট খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা অতুলনীয়। যারা আপনার অধীনে খেলতে পেরেছি, তারা বেশ সৌভাগ্যবানই আমার মতে। আশা করি আপনি গর্ব নিয়েই বিদায় নিতে পেরেছেন। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। পরকালে শান্তিতে থাকুন।’
ফাইনাল ম্যাচের সুপার ওভারে গর্ডনের মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তার মেয়ে লিওনি। বাবার মারা যাওয়ার কথা জানিয়ে স্টাফ. কো. এনজেডকে লিওনি বলেন, ‘ফাইনাল ওভারের সময় একজন নার্স এসে বলেছিলেন তার নিশ্বাস পরিবর্তন হচ্ছে। জিমি নিশাম ছক্কা মারার পর মনে হয় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ক্রিকেটের প্রতি তার বিচিত্র রসবোধ ছিল এবং মনে হয় ওই সময়ের উত্তেজনা তিনি সহ্য করতে পারেননি।’
অকল্যান্ড হাইস্কুলের টিচার হিসেবে দীর্ঘ ২৫ বছর দায়িত্ব পালন করা গর্ডন , শুধুমাত্র জিমি নিশামেরই কোচ ছিলেন না। বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লকি ফার্গুসনসহ আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ক্রিকেটের প্রথম পাঠটাও দিয়েছিলেন গর্ডন।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম