অভিজ্ঞ মামুনুলের গোলে ঢাকা আবাহানীর স্বস্তির জয়

মোঃ আলী আকবর রনী
ক্রিড়া প্রতিবেদকঃ
এএফসি কাপের নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে নাম ঢাকা আবাহানী মাঠে ভারতের লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এফসি বিরুদ্ধে। প্রথম লেগে ঢাকা আবাহানী ভারতের মাঠে চেন্নাই এফসির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়। তাই এই ম্যাচটি ঢাকা আবাহানীর জন্য জয়টি খুবই প্রয়োজন দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার জন্য। কারণ ম্যাচটি হারলেই দ্বিতীয় পর্বে উঠাটি আবাহানীর জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে যেত।
খেলার শুরুতেই আবাহানীর ডিফেন্ডারদের ভূলে ৬ মিনিটের মাথায় চেন্নাই এফসির পক্ষে গোল করে এগিয়ে দেন ভারতের খেলোয়ার ‘ভিনেথ’।
গোল খাওয়ার পর ঢাকা আবাহানীর সমতায় ফেরার জন্য প্রাণপণ লড়াই করতে থাকে। কিন্তু সঠিক ফিনিসিং এর জন্য প্রথমআর্ধে কোন গোল করতে পারেনি। এক গোলে পিছিয়ে বিরতীতে যায় ঢাকা আবাহানী।
দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকা আবাহানী খেলাটিকে আরও গুছিয়ে নিয়ে খেলতে থাকে। ম্যাচের ৬৪ মিনিটের সময় আফগানিস্তানের রক্ষনভাগের ঢাকা আবাহানীর খেলোয়ার ‘মাসিহ সাইঘানির দুরথেকে বাড়ানো বলে সফলভাবে নিয়ন্ত্রন করে ডান পায়ের জোড়ালো শটে আবাহানীর পক্ষে সমতা সূচক গোল করেন হাইতির খেলোয়ার ‘কেরফেন্স ফিলস বেলফোর্ট। ঠিক পাচঁ মিনিট পর খেলার ৬৯ মিনিটের সময় এক দুর্দান্ত স্পট কিকে গোল করে এগিয়ে দেন আফগানিস্তান তারকা ‘সাইঘানি’। কিন্তু ম্যাচের আকর্ষন যেন আরও বেড়ে যায় যখন ৭৪মিনিটের সময় চেন্নাই এর পক্ষে গোল সমতায় ফেরান ‘ভানমালসওমা’। মনে হচ্ছিল দুই লেগ নিয়ে ঢাকা আবাহানী ড্র নিয়ে খেলা শেষ করবে। কিন্তু ম্যাচের একবারে শেষ সময় ৮৮ মিনিটের সময় বাংলাদেশের অভিজ্ঞ খেলোয়ার মামুনুলের অসাধারণ এক ভলিতে গোল করে আবাহানীকে এক স্বস্তির জয় উপহার দেন। নির্ধারিত সময় শেষে ৩-২ গোলে জয় নিয়ে ঘরের মাঠে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহানী লিঃ। এই জয়ে ঢাকা আবাহানীর দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার জন্য সহজ হয়ে গেল।
ম্যাচ শেষে আবাহানীর কোচ ‘লামেস’ বলেন, প্রথমার্ধে আক্রমন ভাগের খেলোয়ারদের ব্যর্থতার কারণে সমতায় ফিরতে পারিনি। কিন্তু আমার খেলোয়ারদের উপর আমার বিশ্বাস ছিল, তারাও লড়াইয়ে ফিরবে। এটা
শুধুমাত্র আবাহানীর জন্য নয় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ম্যাচ ছিল। খেলার প্রথমেই আমরা সেটপিস থেকে ভূলে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিলাম। পরবর্তীতে আমাদের ছেলেরা লড়াই করে খেলে ঘুরে দাড়িয়েছে। আমাদের জন্য এটা এক অসাধারণ জয় ছিল। ছেলেরা অবিশ্বাস্যভাবে খেলেছে।
অপরদিকে চেন্নাইয়ের কোচ ‘জন গ্রেগরি’ খুবই হতাস। বিশেষ করে আবাহানীর সাইঘানি এবং মামুনুলের গোলে প্রশংসা করেছেন। দুটি দুর্দান্ত গোলে আমরা হেরে গিয়েছি। বিশেষ করে মামুনুলের শেষ মুহুত্ত্বের গোলে কথাতো আলাদা ভাবে আলোচনা করলেন।
খেলাশেষে মামুনুল বলেন, “ধন্যবাদ সবাইকে যারা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। আমার পুত্র সন্তান হয়েছে চারমাস হলো, আমি খেলতে পারছিলাম না, কিছুটা মনে ক্ষোভ জমে ছিল। অবশেষে গোল পেলাম, আমার এই গোলটি আমার ছেলেকে উপহার দিলাম।”
আগামী ১৯ জুন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের আরেক দল ‘মিনেরভা পাঞ্জাবের’ বিপক্ষে ঢাকা আবাহানী দ্বিতীয়লেগের মুখোমুখি হবে।
