আফিফ-মিরাজের ব্যাটে মান বাঁচল

সেঞ্চুরিয়ানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে প্রথমবার হারিয়ে ইতিহাস গড়া বাংলাদেশ দলের সামনে আজ বড় লক্ষ্য। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করার হাতছানি। কিন্তু হতাশ করল ব্যাটাররা। গত ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে করেছে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান।
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারাস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই তামিম ১ রানে ফেরেন লুঙ্গি নিগিদির বলে ক্যাচ দিয়ে।
গত ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা সাকিব আল হাসানও এদিন হতাশ করেছেন। তাকে রানের খাতা খোলার সাজঘরে ফেরান কাগিসো রাবাদা। গত ম্যাচে অর্ধশতকের ইনিংস খেলা লিটন দাসও ব্যর্থ হইয়েছেন। ২১ বলে ১৫ রান করে উইকেট রক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বল।
২৩ রানে টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়া দলের ভার নিতে পারেননি ইয়াসির আলী ও দলের অন্যতম ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ইয়াসিরকে ২ (১৪) রানে ফেরান রাবাদা, মুশফিককে ১১ রানে ফেরান ওয়েইন পার্নেল। মাত্র ৩৪ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এখান থেকে ৬০ রানের জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। ৪৪ বলে ২৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। তাবারিজ শামসির বল বুঝে ওঠার আগে স্কয়ার লেগে থাকা জানেমান মালানের হাতে তুলে দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর আফিফ মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াই মনে করিয়ে দিচ্ছিল গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটার কথা। আজও দুজনে মিলে জুটি বাঁধেন ১১২ বলে ৮৬ রানের।
আফিফ হোসেন তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। ১০৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রাবাদার বলে টেম্বা বাভুমার হাতে ক্যাচ দিয়ে।
আফিফের বিদায়ের পর মিরাজকে ৩৮ (৪৯) রানে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট নেন রাবাদা। শেষ দিকে শরিফুল ইসলাম ২, তাসকিন আহমেদ ৯ ও মোস্তাফিজুর রহমান করেন ২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি নিগিদি, ওয়েইন পার্নেল, তাবারিজ শামসি ও রাসি ভ্যানডার দুসেন।

Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?