পাকিস্তানে না গেলে একাদশ থেকে মুশফিককে বাদ

পাকিস্তান সফরে না গেলে মুশফিকুর রহিমকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ দেয়া হবে! এজন্য দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সেখানেই মুশফিককে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়।
চাপ সত্ত্বেও মুশফিক নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তবে এ বিষয়ে মুশফিক ও প্রধান নির্বাচক কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে বিডিনিউজ।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সফর চূড়ান্তের আগেই মুশফিক জানিয়েছিলেন, পরিবারের শঙ্কার কারণে তিনি পাকিস্তানে যাবেন না। বিসিবি সভাপতি সে সময় এবং সফর চূড়ান্ত হওয়ার পরও বলেছিলেন, সফর নিয়ে ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা দেয়া হবে। কাউকে জোর করা হবে না। সবার সিদ্ধান্তকে বোর্ড সম্মান করবে।
তবে সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে মুশফিক ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হওয়ার পরই বিসিবি সভাপতি সংবাদিকদের বলেন, চুক্তির শর্ত মোতাবেক মুশফিকের পাকিস্তান যাওয়া উচিত। মুশফিকের পরিবার তাকে নিয়ে শঙ্কিত, এ বিষয়টি তিনি বিশ্বাস করেন না বলেও জানান।
এমতাবস্তায় এলো দল থেকে বাদ দেয়ার হুমকি। বেশ কয়েকজন বোর্ড পরিচালকের উপস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি প্রধান নির্বাচককে ডেকে বলে দেন, মুশফিক পাকিস্তানে যেতে রাজী না হলে তাকে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে যেন না নেয়া হয়। সোমবার সেই বার্তাই দেয়া হয় মুশফিককে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেলে, তৃতীয় ওয়ানডে নিয়ে একটা অন্য ভাবনা টিম ম্যানেজমেন্টের আগে থেকেই ছিলো। পাকিস্তান সফরে যারা ওয়ানডে খেলবেন তাদেরকেই তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের। তা হলে এমনিতেই সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুশফিকের থাকার কথা নয়। কিন্তু তার আগে মুশফিককে চাপ দিতেই বলা হয়েছে দ্বিতীয় ওয়ানডের কথা।
তবে কোচ ডমিঙ্গো অবশ্য বোর্ড সভাপতির সঙ্গে একমত নয় বলে জানা গেছে। সিরিজ জয়ের আগে তিনি ঝুঁকি নিতে চান না।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার পাকিস্তান সফরে করাচিতে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৩ এপ্রিল হবে ওয়ানডে ম্যাচটি, ৫ এপ্রিল থেকে টেস্ট।
