বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে যেন নিষেধাজ্ঞার কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে। ক’দিন আগেই এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। এবার নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়তে পারেন উদীয়মান বাঁ-হাতি পেসার কাজী অনিক ইসলাম।
তবে, স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত নন অনিক। জাতীয় লীগ চলাকালীন ডোপ পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল আসায় খুব সম্ভবত বিসিবি কর্তৃক বছরখানেকের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার অনিক ৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ২৬টি লিস্ট এ ম্যাচ ও ৯টি ঘরোয়া স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সর্বশেষ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যেখানে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তার দ্রুতগতির এক বল নিয়ে আলোচনা হয়েছিল খুব।
ক্রিকবাজ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাতীয় লিগ চলাকালে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন অনিক। যেখানে ঢাকা মেট্রোর স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। শাস্তি হিসেবে নিষেধাজ্ঞা তো আসছেই, একই সঙ্গে বিসিবির ‘এইজ গ্রুপ’ কাঠামো থেকেও বাদ পড়ছেন এই পেসার। এই কারণেই তার নাম ছিল না বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা মেডিকেল টিমের কাছ থেকে জানতে পেরেছি সে (অনিক) এনসিএল চলাকালে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছে। আমরা তাই এরপরই তাকে আর এনসিএলে বিবেচনা করিনি।’
এ কারণেই তার নাম বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটেও তার নাম না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
মিনহাজুল যোগ করেন, ‘সে আমাদের বেশ কিছু কর্মসূচির অংশ ছিল। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে সবকিছু থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিসিবির অ্যান্টি ডোপিং আইনের ১০.৩.২ ধারার ২.৪ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, এমন অপরাধ করলে কোনো ক্রিকেটারের প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধ অনুযায়ী দুই বছর থেকে কমপক্ষে এক বছর নিষিদ্ধ হবেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম