12:07 AM, 20 April, 2024

নাগরপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

আল-তুহিন আজাদ
নাগরপুর, টাঙ্গাইলঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ১১০ নং ঘুনী গজমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। বিদ্যালয়ের একমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধসে পরার আতংক মাথায় নিয়েই ক্লাস করতে হচ্ছে এ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মার্চে তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাস চলার সময় বিমের একাংশ ধসে পড়ে জিহাদ, বৃষ্টি ও ইমরান নামে তিন শিক্ষার্থী মারাত্মক ভাবে আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। শিক্ষার্থীরা ভবন ধসে পড়ার আশংকায় এই গরমেও ফ্যান ব্যবহার করতে পারছে না। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে ক্লাসরুমে। দরজা, জানালা ভাঙ্গা, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, দেয়াল ও ছাদের আস্তর খসে পড়ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গায়ে। বিদ্যালয়ের এমন নাজুক অবস্থার পরও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেনি। আর বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা ভবন না থাকায় ঐ জরাজীর্ণ ভবনেই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
১৯৯৪ সালে নির্মিত ১১০ নং ঘুনী গজমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ভবন ২৪ বছরেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটি যেকোন সময় ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মফিজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে হয়। স্কুলে ১৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দিন দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাবো তাও পারছি না। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, দ্রæত ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করে নতুন ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করা হোক। আর যে পর্যন্ত নতুন ভবন না হবে সেপর্যন্ত বিকল্প কোন ব্যবস্থা করে শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হোক।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চৌধুরি জানান, উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকায় শীর্ষে এ বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রæত আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, ১১০ নং ঘুনী গজমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি আমি জেনেছি খুব দ্রæতই নতুন ভবন নির্মানের টেন্ডার আহবান করা হবে। আর যে পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মিত না হবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে একটি টিনের ঘর তুলে বিদ্যালয়ের পাঠদান অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা হবে।