9:58 PM, 12 November, 2025

বিএনপির জনপ্রিয়তা প্রমাণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই যথেষ্টঃ মির্জা ফখরুল

received_1037000550250081
বিএনপির জনপ্রিয়তা প্রমাণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই যথেষ্ট উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতার বাইরে থাকলেই সব দল পচনশীল হয় না। আওয়ামী লীগও তো ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। সেখানে বিএনপি হচ্ছে উচ্চগামী একটি দল। বিএনপির যে জনপ্রিয়তা, তা প্রমাণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই যথেষ্ট।’
 বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আ’লীগ সরকার সব পরিবর্তন করেছে, সংবিধান পরিবর্তন করেছে। সংবিধানের যেই মোটিভ ধারা ছিল তাকে পরিবর্তন করেছে। এটাকে সম্পুর্ন আওয়ামী সংবিধানে পরিনত করেছে। তিনি আজ শুক্রবার (২০ মে) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৩টি অনুচ্ছেদ আছে যে অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সংবিধানে সংশোধনী নিয়ে এসেছে, সেখানে কোনদিন হাত দেওয়া যাবে না। আজীবন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন হাত দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ সংবিধানের যে মৌলিক চরিত্র, এটা একটা প্রজাতন্ত্র , জনগণের ভোটে যে নির্বাচিত সরকার, জনগন এই সংবিধানের পরিবর্তন সাধন করতে পারেন এটা আর থাকলো না। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের একটি পরিবেশ তৈরী করুন। এটিই এখন বাংলাদেশের একটি বড় সংকট, এ সংকট নিরশন করুন। তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রীকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দাও এটা ভয়ংকর কথা। আইন নেই, কানুন নেই, একজন প্রধানমন্ত্রী তিনি বলে দিলেন টুস করে ফেলে দিতে হবে।
আমরা বারবার অনুরোধ করছি যে, দেশের যে পরিবেশ তা দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেটা আর খারাপ না করে কমপক্ষে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন। তিনি আরও বলেন, গত পরশু তার প্রত্যাবর্তন দিবসের একটা অনুষ্ঠানে তিনি বিএনপির ব্যাপারে, বিএনপি নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবং দেশের যারা শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত, আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব তাদের বিরুদ্ধাচারণ করেন। এমনকি পত্রিকার সম্পাদক তাদের বিরুদ্ধে, অর্থনৈতিকবীদদের বিরুদ্ধেও বলেছেন। আমি এর তীব্র বিরোধীতা করছি, নিন্দা জানাচ্ছি। এটা আ’লীগের স্বভাবসূলভ চরিত্র, সব সময় সন্ত্রাস, ত্রাশ করে ক্ষমতায় যায়।
সেভাবেই তারা আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পায়তারা শুরু করেছে। ২০১৪ সালে এমন একটা অবস্থা তৈরী করে, ত্রাশ করে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন করেছিল এবং জনগনের সাথে প্রতারণা করেছি। তারা জনগণকে ভোট দেওয়ার কোন সুযোগই দেয়নি। ১৫৪ টি আসনেই বিনা ভোটে নির্বাচিত করে। একই ভাবে সারাদেশে সন্ত্রাসী কায়দায় গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির অসংখ্য হাজার হাজার নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা ও ১৯ জন প্রার্থীকে বন্দি করা, আদালতকে ব্যবহার করা, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আগের রাতেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই যাদের ইতিহাস, আজকের না শুধু ১৯৭৩ সালে যখন আ’লীগের একক আধিপত্য ছিল এবং জনপ্রিয়তা ছিল তখনও কিন্তু তারা নির্বাচনে কাউকে ছাড় দেয়না
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথায় বিএনপি কান দেয় না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের কোনো কথাকে আমরা গুরুত্ব দেই না। তার কথায় কান দেয় না বিএনপি। কারণ তিনি নিজে কোনো কথা বলেন না। শেখ হাসিনা যা বলেন, সেটাই আবার তিনি বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চরিত্রই হচ্ছে জোর করে ক্ষমতায় থাকা। জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগই দেয় না। আওয়ামী লীগের গত ১৪ বছরের ইতিহাস হচ্ছে জোর করে টিকে থাকার ইতিহাস। তারা সব কিছু পরিবর্তন করেছে। এমনকি তারা সংবিধান পরিবর্তন করে এটাকে সম্পূর্ণরুপে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে। আগামী নির্বাচনেও তারা জোর করে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার পরিকল্পনা করছে।
আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে হাসি পাই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংসদ বাতিল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল এ আওয়ামী লীগ। তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের কথা, সংবিধানের কথা মানেই প্রতারণা ছাড়া কিছুই না।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা
 সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *