11:15 PM, 12 November, 2025

দুই সিটিতে নতুন করে নির্বাচনের দাবি ফখরুলের

bnp_43

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল বালিত করে আবারো নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনে ‘ব্যাপক কারচুপির’ অভিযোগ করে এমন দাবি করেন তিনি। ৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাজধানীর গুলশান ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির দুই মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের যৌথভাবে ঢাকার দুই সিটির ভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অত্যন্ত সচেতনভাবে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেই যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা না থাকায় নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়ে একদশীয় বাকশালের দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। দলটি ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভিন্ন কৌশলে নতুনরূপে বাকশালী কায়দায় দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলছি- এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের এত আয়োজনের পরেও ভোটাররা তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। সে কারণে আমরা দেখতে পেলাম- নির্বাচনে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয়নি। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যে ভোট হয়ে গেল, সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এ কারণে নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আহ্বান করছি।’

বিএনপি এই মহাসচিব আরো বলেন, ‘আরেকটি কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বলতে চাই- আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমরা বারবার দাবি করছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই কেবলমাত্র সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে।’

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ভোটের ফল সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেন তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। তারা নির্বাচনে কেন্দ্রদখল, এজেন্ট বের করে দেয়া, ফল কারচুপির অভিযোগ তুলেন বিএনপির এই দুই মেয়রপ্রার্থী।

এ সময় তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুইয়্যা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।