6:48 PM, 11 March, 2025

বালিশ কাণ্ডে ৩৪ সরকারি কর্মকর্তা জড়িত: পূর্তমন্ত্রী

rezaul-karim

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাবনার রূপপুরে অবস্থিত দেশের একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পের দুর্নীতিতে ৩৪ সরকারি কর্মকর্তা ও তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে ‘বালিশ দুর্নীতি’র তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে নজিরবিহীন ‘বালিশ দুর্নীতি’র ঘটনায় ৩৪ কর্মকর্তাকে দায়ী করে এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়া এ ঘটনায় দুটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৩৪ কর্মকর্তা বা ব্যক্তি এ ঘটনায় নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এ ছাড়া তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও জড়িত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে চার কর্মকর্তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবেন, আমরা সেই মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছি।’

এদিকে নিজের মন্ত্রণায়লের লোকজনও এ ঘটনায় জড়িত জানিয়ে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিযুক্ত কয়েকজন ইতোমধ্যে এলপিআর (অবসরোত্তর ছুটি) বা অবসরে গেছেন। একজন অবসরে আর তিনজন পিআরএলে আছেন। তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু তারা দায়িত্বে নেই। এ জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

এছাড়া দুর্নীতিতে জড়িতদের বরখাস্ত করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা চাকরিতে আছেন, গুরুতর অভিযোগের কারণে তাদের ১৬ জনকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপর ১০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিভাগীয় মামলার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম মেগাপ্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিন সিটিতে আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে এর দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সারা দেশে ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে আলোচিত হয়।