7:17 AM, 13 March, 2025
62351877_460540448056945_6176810884644470784_n

সোহেল ডিএম রানা

রিয়াদ,সৌদিআরব থেকেঃ — জীবনকে সুস্থ রাখতে — মাদককে না বলি। মাদক!! বর্তমান সমাজের ভয়াবহ এক ব্যাধির নাম। বৃদ্ধ থেকে শুরু শিশুরা আজ ভয়াবহভাবে আসক্ত। তবে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত যুব সমাজ। শুধু তাই নয়, আমাদের ধারণা ছিল একশ্রেণির ছাত্র, বখাটে তরুণ বা উচ্ছন্নে যাওয়া যুবকরাই মাদকসেবন করে। কিন্তু না। আমাদের এমন ধারণা একদমই ভুল।

মাদক নামক মোহনীয় বস্তু একশ্রেণির সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে কোনও কোনও পুলিশসদস্য, ডাক্তার, প্রফেসর, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণির সদস্যের মাঝেও ঢুকে পড়েছে বলে প্রকাশ। আর এ মাদকের বিস্তার ঘটছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। শহরের পাশাপাশি এখন গ্রামেও এর ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে।

এক শ্রেণীর স্বার্থান্বাশী কিছু মানুষ শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে মদ,গাজা,ফেনসিডিলের মত মরণব্যাধী মাদক। ফলে সমাজে বাড়ছে ইভটিজিং,চাঁদাবাজি, পারিবারিক কলোহল সহিংসতা সহ ঘটছে খুনের মত ঘটনা। সুতরাং মাদকের এই ভয়াবহতা রুখতে প্রয়োজন গণসংযোগ ও সচেতনতা। আর সবথেকে বেশি নিজ পরিবার থেকে শুরু করা অর্থাৎ আমাদের ছেলেমেয়ের সার্বক্ষণিক তদারকি করা সে কোথায় যাচ্ছে কার কার সাথে মিশছে। অর্থাৎ তাঁকে ফলোআপে রাখা।

বর্তমান পরিসংখ্যান বলছে সরকারী গণনা অনুযায়ী বর্তমানে ৭৮ লাখ মাদকসেবনকারী রয়েছে আর বেসরকারী এর সংখ্যা এর বহুগুণ। সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জনগণের মধ্যে মাদক ব্যবহারের প্রকোপ ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেই হিসাবে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৩৮ লাখের বেশি। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়, ১২ থেকে বছর ১৮ বছরের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ, ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ মাদক ব্যবহারের প্রকোপে রয়েছে। সুতরাং এখনই এর প্রতিকার না করা যায় তাহলে আগামী ৫ বছরে এর তীব্র আকার ধারণ করবে।

সুতরাং দলমতের উর্দ্ধে থেকে সমাজের বিবেকবান মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যুব সমাজকে। প্রয়োজনে প্রত্যেক পাড়ায় কিংবা মহল্লায় মাদকবিরোধী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে এবং ক্যাম্পপেইনের মাধ্যমে মাদকের ভয়বহতা সম্পর্কে তা সমাজে তুলে ধরতে হবে। আসুন মাদককে পরিহার করি। আমরা ১৭ কোটি মানুষ, প্র্যতেকেই যদি একটা ভাল কাজ করি। তাহলে প্রতিদিন ১৭ কোটি ভাল কাজ হবে। এই দেশটা আপনার আমার। আসুন সম্মিলিতভাবে আমাদের আগামীর প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করি।