টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দেশীয় গরুর খামার তৈরির অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে সর্ববৃহৎ চকদার গরুর খামার। চকদার গরুর খামার কুরবানির জন্য সেরা জাতের গরুর খামার।
বিভিন্ন জাতের গরু দিয়ে সাজানো এই গরুর খামার। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শাহীওয়াল জাতের গরু, ফ্রিজিয়ান জাতের গরু, দেশাল ষাঁড়, ইন্ডিয়ান বিশাল আকৃতির বলদ গরু এবং নেপালি জাতের গরু।
এসব গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করা হচ্ছে। গরুগুলোকে খাওয়ানো হচ্ছে দেশীয় খাবার খড়, খৈল, ভূষি, গুড়ের চিটা, লবণ, চাল-ডাল ও ছোলার-গুঁড়োসহ চাষ করা নেপিয়ার ঘাস। পশু চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী গরুগুলোকে দেয়া হয় চিকিৎসা। ব্যবহার করা হচ্ছে না মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো মেডিসিন। কোরবানির ঈদে খামারের গরু বিক্রি করে পরের মৌসুমের জন্য গরু পালন করা শুরু করেন। প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা বেশি ক্রেতাদের। এ কারণে হাটে নেয়ার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যায় এসব গরু। অনেক সময় খুচরা ক্রেতা ও পাইকাররা খামার থেকেই গরু কিনে নিয়ে যান।
উপজেলার বৃহৎ খামার চকদার গরুর খামারের মালিক মো. দুলাল হোসেন চকদার জানান, এ বছর কোরবানির জন্য ১০০টি ষাড় ও বলদ মোটাতাজা করা হয়েছে। বিগত পাঁচ বছর যাবত দেশের সর্ববৃহৎ গরুর হাট গাবতলী গরুর হাটে আমার খামারের বড় বড় গরু কোরবানির জন্য বিক্রি করতে নেওয়া হয়। সবগুলো গরু এ বছরের কোরবানি ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছেন বলে জানান মো. দুলাল হোসেন চকদার।
তিনি আরও বলেন, আমার খামারে সারা বাংলাদেশের মধ্যে এবার সবচেয়ে বড় বড় গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব বড় গরু বিক্রির জন্য ফেসবুকে পেইজ খুলে গরুর ছবি দিয়ে তিনি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন। এতে ভালো সাড়াও পেয়েছেন। প্রতিদিনই অনলাইনে লোকজন যোগাযোগ করছেন, পাইকাররাও ফেসবুকে দেখে স্বশরীরে আসছেন। এছাড়া যারা এসব গরু কিনতে আগ্রহী তাদের নিম্নলিখিত মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭১৭-৩০৬৬৮১, ০১৭১৩-৫৪৩৮১০ তে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
মো. দুলাল হোসেন চকদার জানান, গরুর খামারে তৈরি হয়েছে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানেরও। গরুর পরিচর্চা করার জন্য খামারগুলো নিয়োগ দেয়া হয়েছে শ্রমিকদের। এতে তাদের দারিদ্রতাও দূর হচ্ছে। যদি বিদেশী গরুর আমদানী না হয় তাহলে আমরা খামারীরা অধিক লাভবান হতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশু যাতে জনগণ পায় এবং খামারে উৎপাদিত গরুগুলো খামারীরা ঠিক মতো বিক্রি করতে পারে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দেবনাথ জানান, উপজেলায় দুলাল হোসেন চকদারের খামারটিই সবচেয়ে বড়। তিনি স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা করেছেন। আমরা তার খামার নিয়মিত দেখাশোনা করছি এবং খোঁজ খবর নিচ্ছি।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম