ভালোবাসি
—সাজ্জাদুল বারী
সেদিন ঐ বাঁকা চাঁদও উদাসভাবে তাকিয়ে ছিলো
সপ্তদশী অন্তঃসলিলা নদীর ইতিহাসের পানে।
যার অপাঙ্গে বিষাদের অশ্রুবিন্দু চকচক করছিলো
যদিও সে জন্ম থেকে কামাক্ষী তবুও হয় পরিবেদন
যার ইতিহাস ঘেটে শিশিরে সিক্ত সপ্তর্ষী নাচছিলো
রংধনু রঙের শাড়ি পরে স্বর্গীয় দূতের মতো —
হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় কমছিলো হৃদয়স্পন্দন
প্রগাঢ অন্ধকারে নিশাচর জোনাকির আষাঢ়েগল্পে
অজানা আতঙ্কে হাঁপড়ের মতো উঠানামা শরীর
বক্রোষ্ঠী কামড়ে অনুক্ত কথা তোমায় ভালোবাসি।
প্রতিশোধ
—সাজ্জাদুল বারী
ইচ্ছে করে মেঘ ভাঙানো চিমশানি রোদ হই
যাতে এক নিমেষে বিলুপ্ত করতে পারি
সমস্ত কোলাব্যাঙের আর্তচিৎকার।
যদি বৃষ্টিতে আধভেজা জোনাকি হতাম
তাহলে বন্ধ করতাম সন্ধ্যার নবাবী বিনোদন।
যখন তপ্ত মরুর ঝর্ণা হবো, তখন আমি কঞ্জুস,
একফোটাও দেবনা তোমাদের বিরহের শীতল জল
যেদিন বুকের পাঁজরের নিচে বৈশাখী মেঘ হবো
সেদিন আঁধারে বিকশিত করে তুলবো সুনামি
তোমাদের নবাবী জীবনের এপাশ ওপাশ।
যে বছর সমাজ মাঘের শীতের দিবাকর বানাবে
তখন আর পায় কে আমায়—-
নিজের ইচ্ছে মতো হারাবো কুয়াশার লেপের নিচে।
একটু ওম তারপরে ক্লান্তির ঘুম।যদি জাগাও তবে-
হব বিসুভিয়াস ধ্বংস করবো জগতের সব অনাচার
যদি বসন্তের বৃক্ষের মতো আড়মোড়া ভেঙে
শাখায় শাখায় নব কিশলয় নিয়ে আপনি জাগি,
সেদিন আমি স্বাধীনচেতা, ক্ষ্যাপা মাংসাশি—
ধারালো দাঁতের কামড়ে ভাঙবো অস্থিমজ্জা
যারা বাংলা মায়ের ছিঁড়ছো শাড়ির আঁচল।
নীলিমা
—সাজ্জাদুল বারী
(উৎসর্গঃ নীলিমাদিকে)
নীলিমা নীল নীলাম্বরীতে নিলোৎপল
নীতিজ্ঞান নীতিবাক্যে নীহার নীরদ
নিলীন নির্লোভ নিশ্চল নিশাপতি
নেতৃত্ব নেত্র নেত্রপাত নেপথ্য
নৈশ নৈপুণ্য নেয়ে নৈস্বর্গিক
নোয়ান নোলক নেপালী নৈকট্য
ন্যায়ত ন্যায্য ন্যায়সঙ্গত ন্যায়শাস্ত্র
নৈবেদ্য নিপুণ নৈস্বর্গিক নোঙর।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম