নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণার পর যা বললেন জায়েদ খান


শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে। বাতিল করা হয়েছে জায়েদ খানের প্রার্থিতা। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নতুন করে এ ঘোষণা দেন শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
আপিল বোর্ডের এ রায়কে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান। তিনি বলেছেন, তাদের রায় শুনে মনে হচ্ছে আমি বাসায় বসে নিজেকে নিজে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলাম এমন।
এ সময় জায়েদ খান বলেন, পুরাটাই হাস্যকর। তারা কোনো নিয়মকানুন কিছুই মানে নাই। এ রায় ঘোষণার অধিকার তো আপিল বোর্ডের নেই। নিজেরা নিজেদের মতো যা ইচ্ছা করছে, রায় ঘোষণা করছে, প্রার্থিতা ঘোষণা করে দিচ্ছে যা তা অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের নিয়োগ দিয়েছি। ৩০ তারিখেই তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ওই দিনের মধ্যেই বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। এ আপিল বোর্ডের মেয়াদ শেষ। তারা চাইলে কোর্টে যেতে পারতো। আমি তাদের আইনি নোটিশ দিয়েছি। এবার তাদের আইনি ব্যবস্থাও নেব।
এদিকে শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে দুপুর থেকেই উত্তপ্ত ছিল এফডিসি। বিকেল ৫টায় আপিল বোর্ড মিটিং ডাকা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ মিটিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার কথা ছিল নির্বাচন নিয়ে অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, চুন্নু, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দুই নির্বাচন কমিশনারের। তবে মিটিংয়ে যাননি (জায়েদ খান)। ওনাদের লিগ্যালিটি নেই। আমি কেন যাব?
মিটিং শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এফডিসিতে। জায়েদ খানের বিপক্ষে চলে বিক্ষোভ। মিশা-জায়েদের আমলে ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা বিকেল ৩টা থেকে এফডিসিতে অবস্থান নেয়।
আন্দোলনকারীরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে জায়েদ। ২০ বছর ধরে এফডিসিতে আছি। প্রায় ১০০টি সিনেমায় কাজ করেছি। আমার মতো শিল্পীকেও সে বঞ্চিত করেছে। আমি ওর বিচার চাই।
এদিকে মিটিংয়ের এক ঘণ্টা আগেও খবর পাওয়া যায় শিল্পী সমিতির কার্যালয় তালা মারা। দুজন পিয়নের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান।
কাভার্ডঃ অলিউর রহমান লিমন