ভারত করোনার (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন দুই ডলারে ক্রয় করছে। আর সেই একই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ সোয়া পাঁচ ডলারে ক্রয় করছে। এতে করে ভারতের চেয়ে তিন ডলার বেশিতে এই ভ্যাকসিন ক্রয় করতে হচ্ছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এই মন্তব্য করেছেন।
৪ জানুয়ারি, সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মেহেরুন নেছা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারত যে ভ্যাকসিন দুই ডলারে পাচ্ছে, আমরা সেটা পাচ্ছি সোয়া পাঁচ ডলারে। অর্থের এই বেশি অংশ কে পাচ্ছে- সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ভারতের সেরামকে ভ্যাকসিনের জন্য প্রথম ধাপে ৬০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ দিচ্ছে, তার চেয়ে কম টাকায় যদি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দশ বিজ্ঞানীকে এক কোটি টাকা মাসিক বেতনে আনা হতো, তাহলেও দেশের ১২০ কোটি টাকা খরচ হতো। এখানে অনেক বেশি বিজ্ঞানী তৈরি হতো। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দেশে এক বছরের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি করা যেত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আরো বলেন, দেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেককে যদি ৫০ কোটি টাকা সাবসিডি দেয়া হতো, তবে তারাও দেশি বিজ্ঞানীদের নিয়ে কাজ করতে পারত। তাহলে আজকে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হতো।
এ সময় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে জাতি প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণ কেবল মেয়ে ও ছেলেদের ওপরেই নয়, ধর্ষণ অর্থনীতিতে অনেক বেশি।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম