7:15 PM, 12 March, 2025

গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর নির্যাতনে কালোবর্ণ ধারণ করেছে স্ত্রীর গোটা শরীরে

nari nirjaton

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে গায়ের হলুদ শুকানোর আগেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আফরোজা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূ।তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকাল ১২ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে আফরোজা বেগমের শরীরের আশি ভাগ কালোবর্ণ ধারণ করেছে। নির্যাতিত আফরোজা বেগম উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের পোগইল গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের পাটোয়া গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান,প্রায় মাস তিনেক আগে জুয়েলের সঙ্গে আফরোজা বেগমের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের পর তারা গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।সেখানে জুয়েল মিয়া অটোরিক্সা চালিয়ে পরিবার পরিচালনা করতেন। পারিবারিক সূত্র জানায়,আফরোজাকে বিয়ে করার আগে তার আরও দুইজন স্ত্রী ছিল।তাদের মধ্যে শাহানুর বেগম নামে একজনের সঙ্গে প্রায়ই জুয়েল মিয়া মুঠোফোনে কথা বলতেন।আফরোজা বেগম এতে বাঁধা দেওয়ায় জুয়েল ক্ষুব্ধ হন।এনিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এক পর্যায়ে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে আফরোজাকে লোহার রড় দিয়ে জুয়েল অ্যালোপাথারী মারধর করেন।এতে আফরোজা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে ঘরের মধ্যে তালাদিয়ে রেখে জুয়েল সটকে পড়েন।স্থানীয়রা বিষয়টি বেগতিক দেখে দরজার তালা ভেঙ্গে আফরোজাকে ঘর থেকে বের করে মৌচাক পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা রাতেই সেখান থেকে আফরোজাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে এনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল মালেক মন্ডল মুন বলেন স্বামীর মারপিটে আফরোজার শরীরের ৮০ ভাগ কালোবর্ণ ধারণ করেছে।এখনোও তিনি ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছেন না ।তাকে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে কমপক্ষে ৩ মাস সময় লাগবে।