নিউজ ডেস্কঃ ডেঙ্গু মশার প্রকোপ দিনের পর দিন বেড়ে চলছে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। বিগত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩শ' ছাড়িয়েছে। সেই হিসাব মতে গত পাঁচ দিনে ১১ হাজার ৪৫১ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও মঙ্গলবার এ সাতজন রোগি মারা গেছেন। এর ভয়াবহতা এখন ছড়িয়েছে সারাদেশ।
এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু তথ্য নিশ্চিত করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। সমকাল’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে আরো ২ হাজার ৩৪৮ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে এক হাজার ২৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় এক হাজার ৮৪ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার এ সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৮৫। চলতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনেই রোগির সংখ্যা ১১ হাজার ৪৫১ জনে দাঁড়াল।
এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৯ হাজার ৯১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ হাজার ৯২১ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। হাসপাতালে বর্তমানে সাত হাজার ৯৬৮ জন রোগি চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজধানী ঢাকার ৩৮ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ হাজার ১৮২ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় দুই হাজার ৭৮৬ জন ভর্তি আছেন।
মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা গেছেন ইতালি প্রবাসী হাফসা লিপি। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মনোয়ারা বেগম, আমজাদ মণ্ডল ও হাবিবুর রহমান। মৃত মনোয়ারার বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে, মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আমজাদ এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা গেছেন রবিউল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ গ্রামে। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা গেছে শিশু রিয়ানা। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। ধানমণ্ডি জেনারেল অ্যান্ড কিডনি হাসপাতালে মারা গেছে শিশু মদিনা আক্তার। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড়।
এদিকে আক্রান্ত রোগিদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৬৮০, মিটফোর্ডে ৪৩১, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৫১, সোহরাওয়ার্দীতে ৩৭০, বারডেমে ৬৪, বিএসএমএমইউতে ১৪৫, পুলিশ হাসপাতালে ১৪৮, মুগদায় ৪৪৮, বিজিবি হাসপাতালে ৩৪, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৯৮, কুর্মিটোলায় ৩৫৪, হলি ফ্যামিলিতে ২১৬, বাংলাদেশ মেডিকেলে ১৪৮, ইবনে সিনায় ৯৪, স্কয়ারে ১২৩, কমফোর্টে ১৯, শমরিতায় ৪২, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২৩, ল্যাবএইডে ৬৭ জন রোগি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া সেন্ট্রালে ১১২, হাই কেয়ারে ৩০, হেলথ অ্যান্ড হোপে ১৭, গ্রীন লাইফে ৮৯, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ১১২, ইউনাইটেডে ৯১, খিদমায় ৩০, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেলে ৬২, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ১০৬, অ্যাপোলোতে ৯৫, আদ্-দ্বীনে ১৩৪, ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ৪৯, বিআরবি হাসপাতালে ৩৩, আজগর আলীতে ৬৭, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৬, উত্তরা আধুনিকে ৮৬, সালাউদ্দিনে ৫৮, পপুলারে ৫৫, উত্তরা ক্রিসেন্টে ৩৬, আনোয়ার খান মডার্নে ১১১ জনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ হাজার ১৮২ রোগি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে রাজধানীর বাহিরে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ঢাকায় ৫৪০, ময়মনসিংহে ২৩৬, চট্টগ্রামে ৬২০, খুলনায় ৪৭৩, রাজশাহীতে ৩২৯, রংপুরে ২২৭, বরিশালে ৩১৬, সিলেটে ৯১ জনসহ মোট দুই হাজার ৮৩২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম