
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আদালতের আদেশের পর পাস্তুরিত দুধের বেচাকেনা বন্ধ থাকার সুযোগে বিদেশি গুড়া দুধ যেন বাজার দখল করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছেন, দেশের দুগ্ধজাত কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাক, এটা আমরা চাই না। আবার বাইরের কোম্পানি দেশে গেড়ে বসুক, সেটাও আমরা চাই না। আমরা চাই, দেশেই নিরাপদ দুধ উৎপাদন হোক।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ মন্তব্য করেন।
আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।
এ সময় বিএসটিআইয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এমআর হাসান (মামুন)। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
শুনানিতে পাস্তুরিত দুধের উৎপাদক কোম্পানি এবং খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করা উদ্দেশ্য নয় জানিয়ে আদালত বলেন, মানব স্বাস্থ্যের জন্য দুধে ক্ষতিকারক কিছু না থাকুক, সেটিই আমরা চাই।
এর পর আদালত আগামী ২০ অক্টোবর তরল দুধ এবং গুঁড়া দুধের ওপর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে পুষ্টির অন্যতম প্রধান জোগান হিসেবে বিবেচিত গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্যে এবার মিলেছে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম