পুনরায় জিপিইডিসি’র কো- চেয়ার নির্বাচিত বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ( জিপিইডিসি) এর সিনিয়র লেভেল মিটিং (এসএলএম) এর কো- চেয়ার হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে ৯ – ১৮ জুলাই জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ওই অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। জাতিসংঘের থেকে দেশে ফিরে জিপিইডিসি বৈঠকের প্রতিবেদন জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, আমরা এবারে এইচএপিএফ এর আওতায় আপনারা জানেন, হাই-লেভেল পলিটিকেল ফোরাম বলা হয়। এই ফোরামে আমরা অংশ গ্রহণ করি এবং এই ফোরামেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো, সিনিয়র লেভেল মিটিং অব দ্য গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্যারিস থেকে শুরু করেছিলাম সেই অনেক আগে ২০০১- ২০০০ এর দিকে সময়েও প্যারিস ডিক্লারেশন হয়েছে বিভিন্ন সময় এবং সেগুলোর যে অবাস্তবায়িত বিষয় গুলো সে বিষয় গুলো নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় থেকে কথা বলে আসছি। আমারা স্টেয়ারিং কমিটিতে ছিলাম পরবর্তিতে আমরা কো- চেয়ারের দায়িত্ব পালন করি এবং এবারো আমরা পুনরায় নির্বাচিত হই।’
সচিব আরো বলেন, ‘একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো – তিনটা চেয়ার আছে। তিনিটা চেয়ার তিনটা সেগমেন্টকে রিপ্রেজেন্ট ( অংশকে প্রতিনিধিত্ব) করে। একটি হচ্ছে উন্নত দেশ সেটি হচ্ছে সেটি হচ্ছে এই বার সুইজারল্যান্ড নির্বাচিত হয়েছে। অনুন্নত দেশ হিসেবে মালয়কে দেয়া হয়েছে। মিডেল ইনকাম দেশ গুলোকে আমরা রিপ্রেজেন্ট করছি। এটা ২০১১ সাল থেকে।’
এর আগে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বিভিন্ন সভা হয়েছিলো সেখানে আমিও গিয়েছিলাম। আমাদের এসডিজি ব্যাপারে। মূলকথা যেটা ছিলো এসডিজি নিয়ে আমরা কি করছি সেটা তুলে ধরা, অধিকতর আরো কি করা যায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক দেশের মন্ত্রীরা এসেছিলো অনেক দেশের আসে নাই। সরকারি কর্মকর্তা এসেছিলো।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে কাজগুলো এসডিজি করবে, এগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও কল্যাণমূলক কাজ। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেনেছেন, স্বীকার করেছেন, সই করেছেন এবং আমরা কথা রাখব।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীসংঘ অতীতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। কখন কোথাও অর্থ আসে নাই। আমি বয়স্ক মানুষ, অনেক কিছু দেখেছি এ জীবনে। অনেক উদ্যোগে তারা (জাতীসংঘ) ডাকে, নেয়; কিন্তু পরে অর্থ পাওয়া যায় না। তারা (জাতীসংঘ) উৎসাহ দেয়, উদ্দীপনা দেয়, সভা ডাকে, খাওয়া-দাওয়া হয় প্রচুর, ঘোরাফেরা করি। কিন্তু আল্টিমেটলি অর্থ আমাদের নিজেদেরই যোগাড় করতে হয়’, যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিদেশ অর্ধায়ন আমি বেশি আশা করি না। ফাইন্যান্সিং আমাদের নিজেদেরই করতে হবে, এটা আমি বলেছি ওখানে। আমাদের অভ্যন্তর থেকে অর্থ বের করতেই হবে।’
