
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আইসিটি খাতে গতবারের তুলনায় ২১৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বেশি পাওয়াতে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আইসিটি খাতের সাথে যুক্ত সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস- বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি- বিসিএস, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং- বাক্য, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- আইএসপিএবি। এই ৪ সংগঠন একত্রিতভাবে আজ (১৫ জুন) বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাজেট নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। বরাদ্দ বাড়লেও বাজেটের কিছু বিষয় নিয়ে তারা সরকারের কাছে পুনর্বিবেচনা অনুরোধ করেন।
সংবাদ সস্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিসিএস এর সভাপতি মো. শাহীদ-উল-মুনির, আইএসপিএবি এর সভাপতি এম এ হাকিম এবং বাক্য এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ আলমাস কবির, এবারের বাজেট নিয়ে আমরা খুশি, তবে কিছু কিছু বিষয়ে সরকারকে বলবো পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রস্তাব করছি। এবার সরকার নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই টাকা সহজ শর্তে ঋণ দিলে উদ্যোক্তারা সফল হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি এর জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল যা কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে, যার ফলে রাজস্ব বাড়বে।
এই বাজেটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ই-কমার্স বলে মনে করেন আলমাস কবির। ই-কমার্স খাতে যুক্ত করা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট। এই ভ্যাট যৌক্তিক না। এই সেক্টর সম্ভাবনাময় খাত। ভ্যাট না থাকলে গ্রাহক অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহী হবে। তাই আমরা চাই কমপক্ষে আগামী ৫ বছর এই খাতে ভ্যাট বসানো না হোক।
এই বাজেটকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহীদ-উল-মুনিরও ভালো বাজেট বলেই মনে করছেন তবে কিছু কিছু বিষয়ে ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করতে বলেন। এই অর্থ বছরে প্রযুক্তি পণ্যের উপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এই কর অব্যাহতির জন্য বলেন তিনি। কর অব্যাহতি না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে।
তিনি আরে বলেন, ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
আইএসপিএবি এর সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ইনফো সরকার ৩ প্রকল্পে প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাই-স্পীড ইন্টারনেট পৌঁছে দেবার লক্ষ্য কাজ করছে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের উপর ৫ শতাংশ রেগুলেটরি মওকুফ না করলে এই কাজে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে।
সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, বিপিও সেক্টরের জন্য ৩০০ কোটি চেয়েছিলাম। আমরা পাইনি। এই অর্থ পেলে আমাদের রিসাচের জন্য সুবিধা হতো।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম