মেঘ বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শুরু হলো ঈদ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। সময় গড়াতেই ঝুম বৃষ্টি। মেঘের গর্জন আর বৃষ্টির ফোঁটায় শুরু হয়েছে রাজধানীবাসির ঈদের সকাল। আজ বুধবার ঈদের দিন সাতসকালেই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে গেছেন। কেউ গেছেন এলাকার ঈদগাহ মাঠে, আবার কেউ গেছেন মসজিদে।
আবহাওয়া অফিস আগেই পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিলো বৃষ্টি হতে পারে। সেটাই হলো। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। ফলে ঈদের নামাজ আদার করতে যাওয়া মানুষজন বৃষ্টি বিড়ম্বনার শিকার হন। অনেকে কাক ভেজা হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরেছেন।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসান, মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
প্রধান জামাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা অংশ নিতে আসেন। হঠাৎ বৃষ্টি নামায় বিপদে পড়ে যান তারা। ঈদগাহের সামনে বিপুল সংখ্যক মানুষ জমে যায়। একসঙ্গে অনেক মানুষ জমে যাওয়ায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় বেরিকেড দিয়ে মানুষের প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা অনেকেই পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে একযোগে মুসল্লিরা ঈদগাহ মাঠের সামিয়ানার মধ্যে প্রবেশ করেন।

ঈদ জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ঈদগাহ ময়দানে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না নিতে মুসল্লিদের পরামর্শ দেয় ঢাকার মহানগর পুলিশ। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি এসএসএফ, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে ছিল।
