স্বজনদের সাথে ঈদ করতে ঘুরমুখো মানুষের ভীড়

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঈদ মানেইতো হাসি মুখে প্রিয়জনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া। আর তাই উৎসবের আনন্দে প্রিয়মুখ স্বজনদের সাথে কাটাতে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে ছুটছে মানুষ। গত ৩/৪ দিন ধরেই স্বজনদের সাথে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছিলো মানুষ। লঞ্চ-বাস-ট্রেন স্টেশনগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রী চাপ বেশি ছিলো। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার দুপুরের পর থেকে যাত্রী চাপ সবচেয়ে বেশি ছিলো। সদরঘাট, রেলস্টেশন ও বাসটার্মিনাল যাত্রীদের উপচে পরা ভীড় দেখা গেছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী এবার ঈদে স্বজনদের শুধুমাত্র ঢাকা ছাড়ছে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ। আর ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের চারটি সিটি করপোরেশনসহ এ তিন জেলা ছেড়ে যাচ্ছে এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ। এই বিপুলসংখ্যক ঘরমুখী যাত্রীর ৫৫ শতাংশ সড়কপথে ও ২৫ শতাংশ নৌপথে যাবে। বাকি ২০ শতাংশ যাবে রেলপথে।
সোমবার দিনভরই রাজধানীর সদরঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভীড় ছিলো। লঞ্চের ধারন ক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন রুটের লঞ্চকে। লঞ্চের ছাদেও ছিলো যাত্রীরা। দুপুরের পর যাত্রীচাপ আরো বাড়ে। সদরঘাটে পল্টুন কম থাকায় যাত্রী ভোগান্তি ছিলো। পল্টুন আছে মাত্র ১৩টি। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ধারন ক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী থাকায় পল্টনে যাত্রী চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রবেশ গেট বন্ধ করে রাখছে কর্তৃপক্ষ। পল্টুনের প্রবেশ গেট কিছুক্ষণের জন্য খুলে কিছু যাত্রী প্রবেশ করার পর আবার তা বন্ধ করে দিচ্ছে। যাত্রীরা লঞ্চে প্রবেশ করার পর পল্টন খালি হলে আবার কিছু যাত্রী প্রবেশ করানো হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আজ বরিশালের উদ্দেশ্যে ২৩ লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সব লঞ্চ পল্টনের ভেড়ার মতো
পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ফলে একটি লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ ঘাট দিয়ে রেখেছে। যাত্রীরা একটি লঞ্চে উঠে আরেকটি লঞ্চে যাচ্ছে।
শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় উপচেপড়া ভিড় ছিলো কমলাপুর রেল স্টেশনেও। মানুষের পদচারণায় ভারী হয়ে উঠেছে কমলাপুর রেলস্টেশন। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই উপচেপড়া ভিড়। কখন আসবে ট্রেন নামক সেই আনন্দ যাত্রা।
চাহিদার তুলনায় ট্রেন অনেক কম ,সবার সংকুলান হচ্ছে না। ট্রেনের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে যাত্রীদের সংখ্যা এতো বেশি যে, ট্রেনের ভেতর তিল ধারণের জায়গাটুকুও নেই। তবুও অনড় সবাই। প্রিয়জনদের সাথে যে ঈদ করা চাই। তাই অগত্যা ট্রেনের ছাদই শেষ ভরসা। টিকিট না পেলেও দাঁড়িয়ে কিংবা ছাদে উঠেই বাড়ি ফিরছে সাধারণ মানুষ।
