কিশোরগঞ্জে ষোলোআনা ফাউন্ডেশনের স্বর্ণকন্যা বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার:
“আঠারোর আগে নয় বিয়ে, বিশের আগে নয় গর্ভধারণ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় “স্বর্ণকন্যা বিতর্ক প্রতিযোগীতা’২০১৯”।
রবিবার সকাল থেকে শহরের কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করে ষোলোআনা ফাউন্ডেশন। প্রচলিত কুসংষ্কারই বয়সন্ধিক্ষনের স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রধান অন্তরায় বিষয়ে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে বিতর্ক প্রতিযোগীতার মুল পর্বটি শেষ হয়। যুক্তি তর্কে ওঠে আসা নানা তথ্য, উপাত্ত নিয়ে কুইজ কুইজ অনুষ্ঠিত হয় দর্শক ছাত্রীদের মাঝে। এতে যেমন বিশেষ জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্র তৈরী হয়, ঠিক তেমনি তৈরী হয়ে ওঠে জাগ্রত নারী হওয়ার অঙ্গিকার।
দু পক্ষের তর্কে বিতর্কে ২৭৮.৫ ও ২৭৯.৫ পয়েন্ট নিয়ে বিজয়ী হয় বিপক্ষ দল এবং সেরা স্বর্ণকন্যা নির্বাচিত হয় সাদিয়া ফারজানা।
অনুষ্ঠানে ষোলোআনা ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ শাখার সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিমেলের সঞ্চালনায়, কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নাহারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ষোলোআনা ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি জনাব গোলাম সারোয়ার মানিক।
ছাত্রীদের সমাজের কুসংষ্কার ও সামাজিক অসহায়ত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষ আলোচনা করেন ষোলোআনা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, মুর্শিদা আক্তার মীম।

এছাড়ারও উপস্থিত ছিলেন আরিফুল ইসলাম প্রিন্স, অর্থ সম্পাদক ষোলোআনা ফাউন্ডেশন, মোঃ সুজন মাহমুদ, প্রিন্সিপাল আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল, নাদিমুল ইসলাম নাদিম, উপদেষ্টা ষোলোআনা ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ শাখা, আজিজুল হক সুমন, উপদেষ্টা ষোলোআনা ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ শাখা, মোঃ মিজানুর রহমান, সভাপতি হোপ বাংলাদেশ ঢাকা, রাকিবুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক প্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন গাজিপুর জেলা, ষোলোআনা ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ শাখার সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান মামুন, সহ সভাপতি সোলেমান কাদির মাসুদ, সহ সভাপতি মারুফ হাসান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক এহসানুল হক অমি, অর্থ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বিপ্লব, প্রচার সম্পাদক মীর আব্দুল আজিজ, কার্যকরী সদস্য নাসরিন সুলতানা ঢলি, সদস্য রফিকুল ইসলাম সুজন, জিন্নাত রেহেনা, শারমিন আক্তার শিলা, লিজা আক্তার, রাকিবুল ইসলাম সহ ষোলোআনা ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ শাখার অন্যান্য সদস্যরা।
সবশেষ আগামীর সম্ভাবনার পথে নারীদের এগিয়ে নিতে স্মৃতি হিসেবে স্কুলছাত্রীদের জন্য ফুল, ফল, ঔষধী গাছ রোপনের মাধ্যমে শেষ হয় বিতর্ক প্রতিযোগীতাটি।
