দ্বিতীয় দফায় পেঁয়াজ আমদানিকারকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

পেঁয়াজের দামে কারসাজির পেছনের হোতাদের চিহ্নিত করতে আরো ৩৭ পেঁয়াজ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আজ ২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কাকরাইলে প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।
অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গতকাল সোমবার প্রথম দফায় ১৪ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। তাদের মধ্যে ৪ জন গতকাল অনুপস্থিত ছিলেন। তারাও আজ উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ যে সকল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে- মেসার্স রচনা ট্রেড্রিং কোম্পানি, মেসার্স ব্রাদার্স ট্রেড, জনী এন্টাপ্রাইজ, এস এম করপোরেশন, মেসার্স রহমান ইমপেক্স, মেসার্স গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সালাহ ট্রেডার্স, খান ট্রেডার্স, আলি রাইচ মিল, বি কে ট্রেডার্স, টাটা ট্রেডার্স, রিজু-রিতু এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রায়হান ট্রেডার্স, হুদা ট্রেডার্স, মেসার্স রহমান ট্রেডার্স, সোহা এন্টারপ্রাইজ, ফারহা ইন্টারন্যাশনাল, হামিদ এন্টারপ্রাইজ, সুপ্তি এন্টারপ্রাইজ, মরিয়ম এন্টারপ্রাইজ, আর ডি এন্টারপ্রাইজ, শাহ ভেন্ডার, মেসার্স সাইফুল এন্টারপ্রাইজ, নূর এন্টারপ্রাইজ, ডি এ এন্টারপ্রাইজ, মুক্তা এন্টারপ্রাইজ, শামীর এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স খান ট্রেডার্স, ধ্রুব ফারিয়া ট্রেডার্স, এম আর ট্রেডার্স, মাহি অ্যান্ড ব্রাদার্স, মেসার্স আলম অ্যান্ড সন্স, এস এস ট্রেডিং, এল মদিনা স্টোর, নিউ বড়বাজার শপিং মল, মা এন্টারপ্রাইজ এবং জাবেদ ব্রাদার্স।
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে ৩৩২ পেঁয়াজ আমদানিকারকদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে শুল্ক গোয়েন্দা। তাদের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে সে তথ্য যাচাই চলছে।
পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য মজুরদারদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন বিভিন্ন মহল। সে পরিপ্রেক্ষিতেই বাজারের তথ্য অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য মেলাতে শুল্ক গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৮০৬ দশমিক ৪৭ মেট্রিক টন। তারপরও পেঁয়াজের দাম কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না তা খতিয়ে দেখছেন তারা। আর সে কারণে বড় ৪১ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় অধিদপ্তর।
