বাংলাদেশের তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এত দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সামরিক অস্ত্র আমদানি করলেও এই প্রথম বাংলাদেশকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানির করার প্রস্তাব দেয় মার্কিন কোম্পানি ইন্টার-অর্ডন্যান্স বা আইও ইনক।
এতে করে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত বা মজুদ পুরনো আগ্নেয়াস্ত্র রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হলো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একটি প্রতিবেদন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ।
চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠকে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিকে তাদের উৎপাদিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং পুরনো আগ্নেয়াস্ত্র রপ্তানির বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।
অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি অনুসন্ধানের পর জানায়, এ ধরনের প্রক্রিয়া বিশ্বে প্রচলিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার-অর্ডন্যান্স বা আইও ইনক নামের একটি কোম্পানি এ ধরনের অস্ত্র কিনে থাকে। তারা রুমানিয়া ও পোল্যান্ড থেকে পুরনো অস্ত্র আমদানি করা হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বাংলাদেশে তৈরি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মজুদ পুরনো আগ্নেয়াস্ত্র ধ্বংস না করে রপ্তানি করতে চাইলে তা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির সাবেক কমান্ড্যান্ট অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাশ বলেন, ‘মজুদ অস্ত্র ও ব্যবহার অনুপযোগী গোলাবারুদ রপ্তানির সুযোগ তৈরির বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য শুভসূচনা এবং খুবই খুশির খবর। প্রতিটি দেশই তার সক্ষমতা বাড়াতে চায়। বাংলাদেশ এদিকে উন্নতি করছে বলেই এ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানি করা হলে একদিকে যেমন দেশের রপ্তানি ঝুড়িতে একটি নতুন পণ্য যোগ হবে, অন্যদিকে ডিফেন্স ডিপ্লোমেসিতে একটি ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বে সব দেশ সব কিছু তৈরি করে না। তাই বাংলাদেশ যদি যুদ্ধকালীন বা জরুরি প্রয়োজনের দিকটি মাথায় রেখে নিজেদের সক্ষমতায় তৈরি বাড়তি অস্ত্র রপ্তানি করতে পারে তা অবশ্যই ইতিবাচক। এতে আমাদের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির প্রসার ঘটবে।’
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম