৩৫ বিঘা জমির ওপর সাকিবের কাঁকড়ার খামার

সময়টা ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। ম্যাচ ফিক্সিং এর প্রস্তাব পেয়ে সেটা আইসিসিকে না জানানোয় ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সাকিব। তবে একবছর পরেই তিনি ফিরতে পারবেন ক্রিকেটে। কিন্তু এই বছর কোনো ক্রিকেট খেলতে পারবেন না তিনি।
তাই সবার একটাই প্রশ্ন এই এক বছর কি করবেন সাকিব? অনেকে বলছেন দেশের বাইরে চলে যাবেন তিনি। ক্রিকেটের বাইরে তার অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে নাকি তার। নাকি একবছর সেগুলোতে মনোযোগ দিবেন।
তবে এবার জানা গেল, সাকিব আল হাসানের একটি কাঁকড়ার খামার আছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দাতিনাখালি এলাকায় ৩৫ বিঘা জমির ওপর কাঁকড়ার খামারটি গড়ে তুলেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন, ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড।’
এটির সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করেন তৌফিক রহমান। তিনি জানান, সাকিবের নিষেধাজ্ঞার খবর শুনার পর তাদের সবারই মন খারাপ। এখন খামার বন্ধ।
বছরে ছয়মাস চালু থাকে খামারটি। বাকি ছয় মাস পুকুর খনন এবং অন্যান্য কাজ করা হয়। সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া সংগ্রহ করা হয়। পরে সেগুলো প্রসেসিং করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বেশ কয়েকবছর আগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আমার এই ওয়ার্ডের ভিতরে কাঁকড়ার খামার গড়ে তুলেন। আমার এলাকার প্রায় ১০০ মজুর কাজ করে খামারে। সাকিবের খামারের কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাকিব ভাই এখনো ফার্মে আসেননি। তবে আসবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। এর মধ্যে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে আর আসা হয়নি। সুন্দরবনের কাঁকড়া যে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব তা স্থানীয় কারো মাথায় আসেনি। সাকিব সেটি করে দেখিয়েছেন। ক্রিকেটার মতো ব্যবসাতেও সেরা সাকিব।’
