কবিতা “অভিসম্পাত”

“অভিসম্পাত”
-সোহেল রানা
বড্ড পিপাসিত, অদ্য দৈন্য নিজ করে,
খোদার দুনিয়া,প্লাবন,শ্রাবণ কত ঝরে।
ইন্দু রাতের কালো সরায়ে জ্বেলে
দেয় যত কিরণ
ওরা রাক্ষুসে,ওরা নিষ্প্রাণ,
ওরা মীর জাফরের মিরন।
কেঁড়ে নেয় ওরা, ঝাপসা আলোও
আঁধারে ডুবায় সবি,
ধিক্কার! হে খোদার বৈরি, সাড়ে তিনে নয়,
অতলে থাকবি ডুবি।
আমি নিজ জ্ঞানে নিজ অশ্রু পানে
ঝরাই নেত্র আরো,
অভিশাপ তোর কারকুনে হায়!
জল পাবি না কারো।
সেদিন দিবসে সাত জমিনের
সব জল যেন শুকায়,
তোর রিপু যেন সেদিন নিজেই তোরে
ফেলে রম্য ধোকায়।
তোর জমিদারি যেন দারহীন হয়
পড়ে থাকে সব জমি,
তুই রক্তপিপাসু,ফাঁসি দিলেও তোর
শাস্তি হবে কমি।
বোকারে ঠকায়ে গড়েছিস তুই
নিজের মৃত্যু কামি,
তোর দলিল-দস্তখ অলীক ফলেতে
নিয়ে আসে যেন যামি।
কণ্ঠক ছুঁয়ে বলিতেছি রে!
বড্ড পিপাসিত, অদ্য দৈন্য নিজ করে,
আজি আমার ভেতরেই হুংকার দিয়ে অংশু-অরুণ কেঁদে মরে।
হা, হা, হা! সর্বগ্রাসী,
দুনিয়া…… লুটে খাবি?
হতভাগা তুই নিজেও জানিস নে
সাড়ে তিন তুই পাবি।
তৃপ্ত হয়েছিস, ভরায়ে তদের
সঙ্গ উদর আরো?
কত পয়সা ছিরনি দানে
ভাবছিস পাবি ছাড়ো?
মৃদু হাসি ! আরে বোকা,
লগ্ন এখনো আছে,
খোদার জমিন বাহাদুরি সব,
ছেড়ে দেনা তার কাছে।
নিতি নিত্যে ভুজনালয়ে
থেকেও থাকি ক্ষুধার্ত মুখ,
তবু অনুরোধ নাহি কর্তা চরণে
পাইতে চাই না নীচতা সুখ।
হ্যাঁ, আরাধনা মোর,আমার রবি
আমারে ফিরায়ে দেনা,
খোদার জমি যেটুকু আমার
সেটুকু তোর কি কেনা?
দল,বল, জন, পয়সা-কড়িতে
বড্ড ভারি অসুর অরাতি,
মুনাফিক! তব দাফন কর্মে
প্রয়োজন এ পথের করাতি।
বড্ড পিপাসিত!
অদ্য দৈন্য নিজ করে,
অভিসম্পাত,দল বলে তোর
আজীবন যেন নাহি মরে।
অভ্র ভেদিয়া গর্জে উঠা
বজ্র মাথায় নাহি পড়ুক,
সপ্ত আকাশ মাথায় ভেঙেও
তোর মস্তক নাহি মরুক।
ভূতলে থাকা পা-চাটার দল,
সমাজে বাঁচুক চরণ চেঁটে,
নব মহীয়ান শ্রদ্ধাভাজন,
লাথি মারো, তার মাথা কেটে।
এত মেঘ, আর বৃষ্টি বারি
পিপাসিত তবু অন্ন ছাড়ি,
অসহায় মেঘে হয় না বৃষ্টি
বিজনে অশ্রু নিচ্ছে কাড়ি।
পৃথিবীর যত বিবেক- শুভ্র
জ্ঞানী-গুনী -তরুণ রাঙা,
তৃষ্ণা কাতর বাঁচার আরজি
জেগে উঠো,ঘুম ভাঙা।
মো. সোহেল রানা, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
