কবি সাজ্জাদুল বারী’র সময়ের ব্যাবধান

সময়ের ব্যবধানে
— সাজ্জাদুল বারী
একদিন তুমি মস্ত বড় একটা গাড়ি হবে।রেলগাড়ি,
ছিপছিপে লম্বা শরীরে স্টেশনে স্টেশনে কিছুক্ষণ;
নামাবে উঠাবে অসংখ্য অবৈধ যাত্রী, মালামাল।
যারা পরিব্রাজকের মত ভ্রমণ করবে ঐ তন্বী শরীরে
টিকেট- বুকিং – লাগেজ ছাড়া।
গার্ডবাবুর হুইসেল, হাতে সবুজ পতাকা উড়তে দেখলে
ঝকঝক শব্দে প্রাণের ভয়ে আবারও দিবে ভোঁ দৌড়।
তন্বী শরীরের ফোঁকড়ে বেচা কেনা হবে চিনাবাদাম,
আমড়া, ডালমুট আর টক- ঝাল- মিষ্টির হরেক পদ।
কিনবে আবাল-বৃদ্ধ, ব্যবসায়ী-চাষা আর কুলিবাবু
কাশ্মীরি দেহের আধিপত্ত নিয়ে দাঙ্গা বাঁধাবে যুবকেরা।
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাবে অক্ষম বৃদ্ধ তোমার দয়ার জন্য।
বুকে পিঠে পেটে যারা মরিয়া হয়ে বসবে তারাও—
বুকে বুক নিতম্বে নিতম্ব অধরে অধর মেলাতে হবে ব্যস্ত।
শহর-বন্দর গ্রাম-গঞ্জ পেরিয়ে তুমি যখন মাঠের পানে—
লোকে দেখবে আর আঙুল উঁচিয়ে দেখাবে তোমায়
খোকা ঐ দ্যাখ, সারথী বিহীন রেলগাড়ি চলে!
যার বিষাক্ত নি:শ্বাসে জলন্ত সীসা ঝরছে।
তোমাতে যারা পরিব্রাজক তাদের সাময়িক উঠা নামায়
উর্বশী শরীরের ভাজগুলো চিত্রিত হবে লাঙলের ফলার।
শরীরের বিষাক্ত ছাড়পোকারা দেহ থেকে দেহ হয়ে
সমাজের অলিতে গলিতে পায়চারি করবে।
একসময় হাঁপাতে হাঁপাতে মন্থর গতি নিয়ে গন্তব্যে এসে
ধু ধু অতীতের সাথে হবে গভীর আলিঙ্গন।
দেখবে নোনতা অশ্রুতে ভিজছে গণ্ডদেশ।
তেজহীন অচল গাত্র, ছানিপড়া চোখে ময়লার স্তুপ জমে
হয়ে উঠেছে আফগানিস্তানের বিরান উপত্যকা।
মনে হবে অভুক্ত ঘড়ি খেয়ে ফেলেছে সমস্ত সময়।

Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?