পলাশবাড়ীতে যানজট নিরসনে মহাসড়ক পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
ঈদে ঘরম‚খী মানুষ নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে ও সুস্থভাবে ঘরে ফিরে পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ঈদ উৎসব আনন্দ শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরতে মানুষ জনের কোন কষ্ট হয়নি এবং আমাদের জেলায় বড় ধরণের কোন দ‚র্ঘটনা ঘটেনি এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ১৮ আগষ্ট বিকালে পলাশবাড়ী উপজেলা সদরে স্থানীয় চৌমাথায় মহাসড়ক পরিদর্শন কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সি-সার্কেল মো: আসাদুজ্জামান, ট্রাফিক ইন্সপেকটর আতাউর রহমান, পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদসহ থানা পুলিশের সদস্যরা।পরে পুলিশ সুপার মহোদয় স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জে তার উদ্ভাবিত ‘ড্রাইভারদের জন্য রিফ্রেশমেন্ট’ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখছে। তিনি এর আগে মহাসড়কে যানজট নিরসনের জন্য সরজমিনে গাড়ী চালকদের সাথে মত বিনিময় করেন।
‘সেবাই পুলিশের ধর্ম’ – এই শ্লোগানে ওয়াদাবদ্ধ হয়ে একটি বাহিনী গঠিত হয়েছে সেটিই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। মানবের মাঝেই আমি বাঁচিবারে চাই। পুলিশ বাহিনীতে যেভাবে মানুষের কাছে থেকে মানব সেবা করা যায় আমার মনে হয় আর কোন পেশা থেকে এমন সেবা দেয়া সত্যিই দুরুহ । উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার প্রকৌশলী জনাব আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম ।
উল্লেখ্য, প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম গাইবান্ধায় আসার পর থেকেই তার মেধা মননশীলতা ও কর্মপরিকল্পনা দিয়ে গাইবান্ধার মানুষকে রেখেছেন শান্তিতে । জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নন ও পুলিশেরর কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং এর কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি এর মাধ্যমে নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, মাদক প্রতিরধ, যৌতুক, জুয়া, জমি-জমা সংক্রান্ত ছোটখাট বিরোধ নিষ্পত্তি, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া, জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরোধ, অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণসহ এলাকার সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এখানকার মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ক্লান্তিহীনভাবে । এ জেলার মানুষকে সেবা দিতে তিনি মাঠে ঘাটে, চরাঞ্চলে ছুটে চলেছেন কখনো নৌকায়, কখনো পায়ে হেঁটে কখনোবা রিক্সায় চড়ে। তিনি গাইবান্ধায় যোগদানের পর থেকে গাইবান্ধা জেলায় সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করে ফেলেছেন । আবার অনেকেই ভয়ে এলাকা ছাড়াও হয়েছেন। গাইবান্ধা ছিল নাশকতার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু । সাধারণের মানুষের মতে, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার হস্তক্ষেপে বর্তমানে শান্তির জেলা হিসেবে গাইবান্ধা রয়েছে শীর্ষে । পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার এমন চমৎকার মানবতায় এখন এখানকার মানুষ তাকে আলোকিত মানুষ হিসেবে জানেন। মানবিক কর্মকান্ডে এতোটা আন্তরিক জনতার সেবক পুলিশ বাহিনীতে এমন মানুষ সত্যিই বিরল বলে জেলাবাসী মনে করেন ।
