বগী-চালিতাতলী খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

মো. মিজানুর রহমান নাদিম,তালতলী প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা একটি জনগুরুত্তপূর্ন পর্যটন এলাকা।এখানে রয়েছে সোনাকাটা ইকোপার্ক,শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত,রাখাইনপল্লীসহ দেখার মত বিভিন্ন মনোরম স্হান। এখানে দৈনিক হাজার হাজার পর্যটক এসে থাকেন। এই এলাকায় পর্যটক যাতে নির্বিগ্নে আসতে পারে এ জন্য সুযোগসুবিধা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।বরগুনা জেলা শহর থেকে এ উপজেলায় দ্রুত সময়ে আসতে হলে চালিতাতলী -বগী খেয়া পার হয়ে আসতে হয়, এছাড়াও অত্র উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ জেলা শহরে দাপ্তরিক ব্যবসায়িক চাকুরি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও রুগীদের উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য এই খেয়া পারাপার হয়েই যেতে হয়।বিশেষ করে এ এলাকার মৎসজীবিরা তাদের মাছ জেলা শহরে আমদানির জন্য চালিতাতলী- বগী খেয়াঘাট ব্যাবহার করে থাকেন। তালতলী উপজেলার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হলো বগী বাজার এখান থেকে ধান চাউল গরু ছাগল মহিষসহ সবই আমদানী রপতানী হয়ে থাকে।চালিতাতলী-বগী এই জনবহুল খেয়াঘাটে হঠাৎ করে ভাড়া বৃদ্ধির কারনে জনগনের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, সাধারণ যাত্রী পারাপারে ১০ টাকার পরিবর্তের ১৫ টাকা, শিক্ষাথীের্দর ফ্রি পারাপারের নিয়ম থাকলেও তাদের কাছ থেকেও সমপরিমাণ টাকা নিচ্ছে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন, মাত্র একটি ঝুঁকিপূণর্ বাহন দিয়ে যাত্রী পারাপার করে। এতে বেশিরভাগ সময়ই শিক্ষাথীর্রা ক্লাস ধরতে পারে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যাত্রীদের অভিযোগ বগীর ওপারে নেই একটি যাত্রীছাউনি মহিলা শিশু ও রুগীদের নিয়ে রোদ বৃষ্টিতে পরতে হয় চরম ভোগান্তিতে, প্রতিদিন শতশত মা ও শিশু এখান থেকে পারাপার হয়।অথচ এখানে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য কোন ক্যাম্প নেই।বগীর খেয়াঘাট থেকে তালতলীর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটি মাটির রাস্তা হওয়াতে বৃষ্টির সময় চরম দূর্ভোগে পরতে হয় যাত্রীদের, চালিতাতলী টু বরগুনা রাস্তাটি সংস্কার হওয়ার পরেও মটর সাইকেলের ভাড়া কমানো হয়নী বরং তারা যাত্রী সংখ্যা বেশী দেখলে ভাড়া আরো বাড়িয়ে দেয়।যেখানে বাসের ভাড়া ২৫ টাকা সেখানে তারা ৪০ থেকে ৫০ টাকা নিচ্ছে।কখনো কখনো জন প্রতি ১০০ টাকাও দিতে হয়।যাত্রীরা মান হানির ভয়ে তা দিয়ে থাকেন। এখানকার স্থানিয়দের অভিযোগ পায়রা নদীটি সাগরের মোহনায় হওয়াতে সবসময়ই নদীটি উত্তাল থাকে আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে এ খেয়াটি পারাপার হই।খেয়ায় থাকেনা কোন লাইফ জ্যাকেট নদীতে ঢেউ থাকলেই মহিলা ও শিশুদের কান্নাকাটির রোল পরে যায় তখন মনে হয় তারা যেন নিশ্চিত মৃত্যু নিয়েই নদী পার হচ্ছে।এ বিষয় কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারিই নেই। সাধারন যাত্রীদের অভিযোগ এত নির্যাতনের পরেও বছরের মাঝামাঝি সময় এসে কেন ভাড়া বৃদ্ধি করা হলো? আমরা সাধারন যাত্রীরা ১০টাকার ভাড়া ১৫ টাকা মেনে নিতে পারিনা এবং বরগুনা টু চালিতাতলী মটর সাইকেলের ভাড়া কমানোর জন্য সরকারের কাছে আমাদের জোর অনুরোধ পূর্বের ১০ টাকার ভাড়া যেন বহাল রাখেন কখনোই যেন তা বৃদ্ধি করা না হয়। আমাদের এ দাবি কর্তৃপক্ষ না মানলে আমরা জনগন এক হয়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
