গত কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত গাবসারা ইউনিয়নেয় ফসলের জমি। অপরদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে নদী ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে চরাঞ্চলসহ উপজেলার অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী লোকজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত গাবসারা ইউনিয়নসহ যমুনা তীরবর্তী অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে বাদাম ও রাঁধুনী সজ। আর এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তলিয়ে যাবে শত শত একর তিল ও কাউন। হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এখানকার কৃষক।
চরাঞ্চলের গাবসারা ইউনিয়ন আজিজ, নজরুল, আকলেছ, বারেকসহ আরও কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর বন্যা আসার আগেই কয়েকবার পানি বেড়ে যায়, এর ফলে আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। নিচু জমির ফসল গুলো পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। রাঁধুনী সজ, তিল, কাউনসহ অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের চরাঞ্চলের উঁচু জমিতে এখনো পানি উঠেনি। পানি উঠার আগেই যদি উঁচু জমির ফসল গুলো কাটতে পারি তাহলে নিচু জমিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, হঠাৎ করে কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর ফলে উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের নিচু এলাকার কিছু অংশের ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আমরা বন্যা মৌসুমে চরাঞ্চলের নিচু জমিতে ফসল চাষ করতে নিষেধ করে থাকি। এর মধ্যে অনেকে আবার ঝুঁকি নিয়ে নিচু জমিতে ফসল লাগায়। তবে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কৃষকের তেমন একটা ক্ষতি হবেনা বলে মনে করছি। বন্যা আসার আগেই তারা তিল, কাউন ও রাঁধুনী সজসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারবে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম