২ হোটেলে জরিমানা ঠাকুরগাঁওয়ে হোটেল মালিক ও শ্রমিকদের মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ের ২ হোটেলে জরিমানার প্রতিবাদে হোটেল রেষ্টুরেন্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন পালিত হয়। আজ বুধবার শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালন করা হয়।
ঠাকুরগাঁও হোটেল রেষ্টুরেন্ট মালিক সমিতি, বেকারী মালিক সমিতি ও হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, হোটেল রোস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি অতুল কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক আলী বখতিয়ার, অর্থ সম্পাদক কাশেম, প্রধান উপদেষ্টা জয় চৌধুরী, উপদেষ্টা ওয়াসিম আকরাম, জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি মো: নাজমুল হুদা শাহ্ এ্যাপোলো, বেকারী মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক বাদল, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক মামুন উর রশিদ প্রমুখ। জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের গোওসিয়া ও রোজ হোটেলকে রোগাক্রান্ত বা পচা খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে ৩ লাখ করে ৬লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। ওই দিনই বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনাকালে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আরিফুল ইসলাম এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। জরিমানার অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে ওই ২ হোটেলের ম্যানেজারকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ৩৪ ধারা অনুযায়ী রোগাক্রান্ত বা পচা মৎস্য বা মৎস্যপন্য অথবা রোগাক্রান্ত বা মৃত পশু-পাখির মাংস, দুদ্ধ বা ডিম দ্বারা কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ প্রস্তুত, সংরক্ষণ বা বিক্রয় করলে অনূর্দ্ধ ৩ বছর কিন্তু অন্যুন ১ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ছয় লাখ টাকা কিন্তু অন্যূন ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। পরবর্তিতে একই অপরাধ পুনরায় করলে ৩ বছর কারাদন্ড বা ১২ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

Your point of view caught my eye and was very interesting. Thanks. I have a question for you.