2:22 AM, 13 November, 2025

রাণীশংকৈলে পৌর মেয়রের শাস্তির দাবিতে দোকান শ্রমিক কর্মচারীদের মানববন্ধন

27042020181139michil,manobbondhon04

ঠাকুরগাঁও জেলায় রাণীশংকৈল পৌর সভার মেয়র আলমগীর সরকার কর্তৃক দোকান প্রতিষ্ঠান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতাকে মারধর করার অভিযোগ এনে এবং এর প্রতিবাদে  মেয়রের শাস্তির দাবীতে সোমবার(২৭এপ্রিল) বেলা ১২ টায় উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে দাড়িয়ে দোকান প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন/১৪টি শ্রমিক ইউনিয়নের (ট্রেড ইউনিয়ন)ব্যানারে প্রায় শতাধিক কর্মচারীর উপস্থিতিতে মানববন্ধন করা হয়েছে ।

মেয়র কর্তৃক মারধরের স্বীকার হিসাবে দাবী করা কর্মচারী প্রদীপ দোকান প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজিষ্টেশন বিহীন) এর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে ২৬ এপ্রিল মেয়রের বিরুদ্বে এমন অপপ্রচার ও দোকান মালিকদের নিকট কর্মচারীরা সহযোগিতা নিয়েও মিথ্যা অপপ্রচার করার প্রতিবাদে প্রেস বিফ্রিং করে দোকান মালিক সমিতি।

এদিকে ১৪ টি শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করা হলেও দুই একটি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ছাড়া অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতি মানববন্ধনে লক্ষ্য করা যায় নি।

উপজেলা ট্রাক ও ট্যাংকলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোকসেদ মুঠোফোনে জানান, সব ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা মিলে গত রোববার একটি সভা হয়েছিল। সভা থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে তারপরে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্বান্ত ছিল। কিন্তু আজকের বিক্ষোভে আমাদের কোন সম্মতি ছিল না। তাই আমরা উপস্থিত হয় নি।

উপজেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান,এই আন্দোলনের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্তা নেই। উপজেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খাইরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আজকের হঠাৎ এই বিক্ষোভ বা মেয়রের বিরুদ্বে এই মানববন্ধনে আমার বা সংগঠনের সম্পৃক্তা নেই। একইভাবে আরো একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদকরা এই আন্দোলনে সম্পৃক্তা নেই বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

তবে মানববন্ধনে সংবাদকর্মিরা যখন মেয়র কর্তৃক মারধরের স্বীকার প্রদীপের বক্তব্য নিতে যাই তখন সামাজিক দুরত্বের বিঘ্নতা ঘটিয়ে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি উপেক্ষা করে উপস্থিত সকল কর্মচারীরা জটলা বেধে শ্রমিক নেতা প্রদীপের পিছনে দাড়ান। পরিশেষে সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে মেয়রের বিচার চাই বলে সামাজিক দুরত্ব না মেনে এক জোট হয়ে মিছিল করেন।

দোকান প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ মুঠোফোনে জানান,হঠাৎ করে সিদ্বান্ত নিয়ে এ কর্মসুচি পালন হওয়ায় অনেক ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত হতে পারে নি।

পৌর মেয়র আলমগীর সরকার বলেন, প্রতিপক্ষের ইন্ধনে পড়ে এবং প্রশাসন ও দলের কাছে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার অংশ হিসাবে সাজানো একটি ঘটনাকে সামনে নিয়ে। এবং উপজেলা জুড়ে এক বিশৃংখলা সৃষ্টির পায়তারার লক্ষে আন্দোলন কর্মসুচির নামে তামাশা করা হচ্ছে।

মেয়র আরো বলেন,আমি কখনোই শ্রমিক বা তাদের নেতাদের অসস্মান করে কথা বলে নি। বর্তমান করোনা প্রার্দুভাবের কারণে কর্মহীন হযে পড়া কর্মচারী শ্রমিকসহ সকল পর্যায়ের শ্রমিকদের প্রাধাণ্য দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছি। অনেককে আবার ব্যক্তিগতভাবেও ত্রাণসহ নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। সে জায়গা থেকেতো কাউকে মারধর করার প্রশ্নই উঠে না।

প্রসঙ্গত পৌর দোকান প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী শ্রমিকরা বেতনভাতার দাবিতে গত ২২ এপ্রিল পৌর শহরের বন্দরের মুল সড়ক অবরোধ করে। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেই তারা। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গত ২৪ এপ্রিল পৌর মেয়র আলমগীর সরকার কর্মচারী শ্রমিকদের বিষয়টি দোকান মালিকদের সুনজরে নেওয়ার আহবান জানিয়ে ঐ দিন সন্ধায় কর্মচারী শ্রমিক নেতাদের তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে সভা করেন। সেই সভা থেকে কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতাকে মারধর করার অভিযোগ তুলা হয় মেয়র আলমগীর সরকারের বিরুদ্বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *