আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে চিঠি বা কোনো প্রকার পার্সেল পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। এর আগে গত রবিবার রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোবাইল, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর পরের দিন সোমবার দেশটির উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় রাজ্যটি দুই ভাগে বিভক্ত করে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করা হয়। একই সাথে বাতিল করা হয় কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা দেয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা।
সোমবার ভারতের সব রাজ্যে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। এমন খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব ভারতের পোস্টমাস্টার জেনারেল (মেল) নীরজ কুমারের বলেন, ‘বিষয়টি অভ্যন্তরীণ। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।’
ডাক বিভাগ সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, শুধু কলকাতা নয়, এই নির্দেশ পৌঁছেছে দেশের সর্বত্র।
দিল্লির ডাক বিভাগের ডিরেক্টর (মেল অপারেশন) পবন সিংহ স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর সার্কেলের জন্য কোনো ধরনের ‘মেল’ বুক করা যাবে না। তার মধ্যে চিঠি যেমন রয়েছে, তেমনই সব ধরনের পার্সেলও রয়েছে। বেসরকারি ক্যুরিয়র সার্ভিসও আপাতত জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের সেবা বন্ধ রেখেছে বলে ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের পথেও অনেক মেল থাকতে পারে। দু’দিন আগে যেসব চিঠি বা পার্সেল পাঠানো হয়েছে। সেটি এখন দিল্লিতে আটকে। এই ধরনের সব চিঠি ও পার্সেল আটকে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে এই সিদ্ধান্ত। তবে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে ফেলার আগেই এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্য বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম