7:47 AM, 13 November, 2025

মিয়ানমারকে কেন সাবমেরিন ‘উপহার’ দিচ্ছে ভারত?

untitled-1_5068

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারকে সাবমেরিন উপহার দিতে যাচ্ছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, যৌথ মহড়া এবং প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এ বছরের মধ্যে মিয়ানমারকে একটি সাবমেরিন দেবে ভারত। অবশ্য ভারত এমন সময় মিয়ানমারকে এই সাবমেরিন দিতে যাচ্ছে, যখন চীন থেকে বাংলাদেশের সাবমেরিন কেনা নিয়ে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি।

ইকোনমিক টাইমস জানায়, আইএনএস সিধুবীর নামে কিলো ক্লাস সাবমেরিনটি ১৯৮০ সালে রাশিয়া থেকে কিনেছিল ভারত। অন্ধ্রপ্রদেশে বঙ্গোপসাগরের তীরে হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড লিমিটেডের কারখানায় সাবমেরিনটির আধুনিকায়নের কাজ চলছে।

এ বছরের শেষ নাগাদ সাবমেরিনটি মিয়ানমারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন শিপইয়ার্ডটির একটি সূত্র জানায়।

সূত্রটি আরো জানায়, সাবমেরিনটির আধুনিকায়ন এবং এতে উন্নত প্রযুক্তি সংযুক্ত করতে এর মূল নির্মাতা রাশিয়া থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য নিজস্ব প্রযুক্তিতে এটিকে সজ্জিত করা হচ্ছে।

সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে কয়েক মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ফলাফল হিসেবে এই সাবমেরিন পেতে যাচ্ছে মিয়ানমার। সম্প্রতি দেশটির ডিফেন্স সার্ভিসের কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং ভারত সফর করেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা, যৌথ মহড়া, সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ সেইসঙ্গে মিয়ানমারকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং দেশটির নৌশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

গত চার বছর ধরে পর্যবেক্ষণের পর মিয়ানমারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার প্রেক্ষিতে এ মাসের শুরুতে ভারত মিয়ানমারকে হালকা ওজনের টর্পেডো সরবরাহ করেছে। ২০১৭ সালের ৩৮ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রপ্তানি চুক্তির অংশ হিসেবে এই টর্পেডো সরবরাহ করা হয়।

এদিকে ২০১৭ সালে চীন থেকে দুইটি সাবমেরিন কিনেছে মিয়ানমার প্রতিবেশী বাংলাদেশ। চীন সাবমেরিন বিক্রির জন্য মিয়ানমারের সঙ্গেও আলোচনা চালায়।  এই অঞ্চলে সামুদ্রিক মারণাস্ত্র বাণিজ্য এবং সরবরাহের মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে চীন।

বাংলাদেশকে সাবমেরিন দেওয়ার মধ্যে দিয়ে চীনের এমন প্রচেষ্টায় উদ্বিগ্ন ভারত। এ জন্য আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে চায় নয়াদিল্লি।