আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরানে গিয়ে দেশটির জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আকাংখা ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। পাশাপাশি হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিভিন্ন দেশের তেলের জাহাজ নির্বিঘ্নে চলাচল করা নিশ্চিত করতে জাপান, ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশের মিলিত সামুদ্রিক বাহিনী গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পম্পেও জানান, প্রয়োজন হলে তিনি খুশি মনেই ইরান যেতে চাইবেন। এমনকি দেশটির জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হলে তিনি আনন্দের সঙ্গেই তা গ্রহণ করবেন।
গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে করা বিশ্বের ছয় পরাশক্তির পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকেই ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার পারা ক্রমেই উর্ধ্বে উঠতে থাকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
যদিও এতদিন ধরে ইরানি নেতারা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যেই আলোচনা চালানো সম্ভব। কিন্তু বৈরি দুই দেশের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা বর্তমানে একদম কমে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বুধবারের পর থেকে এই সম্ভাবনা একদম নেই বললেই চলে। কারণ এদিন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানাচ্ছেন, তেহরান কোন পরিস্থিতিতেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করবে না।
এছাড়া বিগত তিন মাস ধরে ইরানের উপকূলে অবস্থিত হরমুজ প্রণালী দিয়ে চলাচল করা তেলবাহী জাহাজকে কেন্দ্র করে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আরো উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে ফক্স নিউজকে দেয়া আরেক সাক্ষাৎকারে পম্পেও জানান, মধ্যপ্রাচ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নতুন একটি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম