আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের যেসব অঞ্চল ইসরায়েল দখল করে আছে সেগুলো ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব ভূমি বলে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিরা দাবি করে আসছিল। সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তাদের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি ফিলিস্তিনিদের ডিএনএ’র প্রসঙ্গ তুলে তাদের বহিরাগত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত রোববার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এক টুইটবার্তায় লিখেন, ইসরায়েলি শহর আশকেলনের প্রাচীন একটি ফিলিস্তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে পাওয়া মানুষের ডিএনএ গবেষণা করা হয়েছে। ওই গবেষণা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিরা ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এই অঞ্চলে এসেছে। আর বাইবেলের মাধ্যমে আমরা আগে থেকে এই ব্যাপারটি নিশ্চিত ছিলাম।
তিনি জানান, ফিলিস্তিনিরা এই অঞ্চল নিজেদের বলে যে দাবি জানিয়ে আসছে তার তুলনায় ইহুদী জনগণের দাবির গ্রহণযোগ্যতা বেশি। কারণ ৪হাজার বছর আগে থেকেই এটি ইহুদীদেরই ভূমি ছিল।
সম্প্রতি ইসরায়েলের একদল গবেষক প্রাচীন ফিলিস্তিনের একটি শহরের উল্লেখ করে জানান, বাইবেলে বর্ণিত দাউদের কাহিনীতে ইসরায়েলি রাজা সৌলের কাছে যে স্থানে তিনি আশ্রয় চেয়েছিলেন সে স্থানটি তারা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
ওই স্থানে পাওয়া হাড়ের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা মূলত ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রায় সময় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন উপাদান এবং প্রাচীন ইতিহাসের দোহাই দিয়ে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখন্ড নিজেদের বলে দাবি করে থাকে। এছাড়া ওই স্থানের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের কোন যোগসূত্র নেই এবং তারা এখানে বহিরাগত কিংবা শরণার্থী হিসেবে এসেছিল তাই প্রমাণ করার জন্য সচেষ্ট থাকে।
এদিকে পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে নিজেদের অবৈধ বসতি বিস্তারের জন্যও প্রত্নতত্ত্বকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ইহুদীরা। যদিও আন্তর্জাতিক আইনে তাদের এই ধরনের অজুহাতের কোনই গ্রহণযোগ্যতা নেই।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম