8:38 AM, 13 November, 2025

মেইল ফাঁসের ঘটনায় পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত

kim-darroch-dolnal-trump

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডেরক পদত্যাগ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের সমালোচনা মূলক ই-মেইল ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর দেশ দুটির মাঝে কূটনৈতিক উত্তেজনার হওয়ার পর পরেই পদত্যাগ করলেন এই রাষ্ট্রদূত।

বুধবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে কিম ডেরকের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সম্প্রতি ওই ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের একগুচ্ছ গোপন মেইল প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ডেইলি মেইল।

এদিকে, কীভাবে এসব মেইল ফাঁস হলো তা খুঁজে বের করতে তদন্ত করছেন বলে জানায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমন খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

এ ঘটনার পর রাষ্ট্রদূতের সমালোচনা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে বলেন, ‘আমরা আর তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবো না। ওই রাষ্ট্রদূত যুক্তরাজ্যকে ভালোভাবে সেবা দিতে পারেননি।’

এছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে আক্রমণ করে ট্রম্প বলেন, ‘এটা ভালো খবর যে যুক্তরাজ্য নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে।’

ফাঁস হওয়া মেইলে বলা হয়, হোয়াইট হাউসকে ‘অদক্ষ’ ও ‘ব্যতিক্রমী অকার্যকর’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এমনকি এর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘অকর্মা’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

২০১৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পাঠানো এসব মেইলে ডেরক খোলাখুলিভাবে ইরান, রাশিয়া ও চীন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।

২২ জুন রাষ্ট্রদূত লেখেন, ‘ইরান প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি খুব তাড়াতাড়ি আরো সুসংলগ্ন হবে বলে মনে হয় না। এটা একটা বিভক্ত প্রশাসন।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘সম্ভবত ট্রাম্প কখনোই পুরোপুরিভাবে দায়িত্ব নিতে চাননি এবং তিনি বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর যেসব পরিবর্তন করেছেন, সেটা কীভাবে ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।’

সতর্ক বার্তা দিয়ে মেইলে বলা হয়, ‘ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনো আছে। কারণ ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকে এ বিষয়ে কঠোর।’

ট্রাম্প প্রচারণা ও রাশিয়ার গোপন আঁতাতের অভিযোগের বিষয়ে ওই রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ‘যদিও এসব অভিযোগের ব্যাপারে খুব একটা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ মূলত দুই বছর আগের একটি বিস্তারিত বিবরণীতে তিনি বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন।

এছাড়াও ওই রাষ্ট্রদূত আরো জানান, ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বৈদেশিক নীতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমনকি পুরোনো মিত্রদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।